কলেজ ছাত্রের সিঙ্গারার দোকান, বড় উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন
দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২০, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
কাজী হাফিজ:
বরিশাল মহানগরীর সিএন্ডবি চৌমাথা এলাকায় অনেকেরই দৃষ্টি কাড়ে সিঙ্গারার দোকান। অন্তত ছয় যুবকের ব্যস্ততায় সিঙ্গারা তৈরী ও ক্রেতা সামলান দুই যুবক। অন্য যেকোন দোকানের চেয়ে আলাদা এ দোকানটি। এটি অনেকেরই জানা। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন, এই দোকানের মালিক ও কর্মচারী মো. রাসেল মীর মেধাবী ছাত্র, কলেজে পড়েন।
পড়াশুনার পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন মো. রাসেল মীর। শুরু করেছেন সিংগারার দোকান দিয়ে। এই সেদিনও লেখাপড়া শেষে চাকুরী করার কথা ভাবতের তিনি। এখন স্বপ্ন দেখেন, বড় উদ্যোক্তা হবার। সেই ধারায়ই কাজ করে যাচ্ছেন একাগ্র চিত্তে।
মো. রাসেল মীর ২০১৫ সালে কলেজিয়েট বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৩.৯৪ জিপিএ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমে তার পয়েন্ট অনুযায়ী ভর্তি হন বরিশাল মডেল কলেজে । কলেজের ফি এবং নানা খরচের কারণে সে ট্রান্সফার হয়ে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে আসেন। সেখান থেকে জিপিএ ৩.৮৩ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর চাখারে সরকারি ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এক বছর গ্যাপ যায় তার। এখন সরকারি ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান (সন্মান) বিভাগে প্রথম বর্ষে ছাত্র মো. রাসেল মীর।
পরিবারের টানা পোড়ন এবং বাবার সাথে পরিবারের হাল ধরতে পরিচিত বড় ভাই এবং বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করে দশ হাজার টাকা দিয়ে মো. রাসেল মীর সিংগাড়ার ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তার মাসিক আয় ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা এবং সে নগরীর ৩০ গোডাউনে তার দোকানের আরও একটি শাখা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেটা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এছাড়া তারও এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আরও দুজনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
দৈনিক দখিনের সময়-এর সঙ্গে আলাপকালে রাসেল মীর বলেন, “আমি আমার কাজকে খুব ভালোবাসি। আমি পড়াশুনায় মোটামুটি ভালো ছিলাম। পড়াশুনা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। পড়াশুনা করে বড় চাকরি করার ইচ্ছা আগে থাকলেও এখন ভাবছি পড়াশুনা শেষ করে অভিজ্ঞতা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করব। এবং নিজের এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে আরও সম্প্রসারণ করব। আশাকরি আল্লাহর রহমতে নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবো।”