• ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মানে অনিয়ম

দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২০, ১৩:২৫ অপরাহ্ণ
বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মানে অনিয়ম
সংবাদটি শেয়ার করুন...
নয়ন সিকদার ॥
পটুয়াখালীর বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজে নিন্মমানের প্রি-কাস্ট পাইল স্থাপন করা হচ্ছে। বুধবার (২৬আগস্ট) পর্যন্ত ১৭টি পাইল স্থাপন করা হয়েছে। মোট ১২৩টি পাইল স্থাপন করা হবে। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে প্রি-কাস্ট পাইল স্থাপন করায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পাইল ভেঙ্গে গেছে। পটুয়াখালীর গিয়াস উদ্দিন নামের এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে বাউফল থানার সামনে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৮শ ৩৬ টাকা ৫৫ পয়সা ব্যায়ে ৫তলা ফাউন্ডেসন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। একই সাথে কমপ্লেক্সটির তিনতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে।  চুক্তি অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং সালে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং সালে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। চলতি বছর মার্চ মাসে কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কমপ্লেক্সের প্রি-কাস্ট পাইল নির্মাণ করা হয়েছে অত্যান্ত নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে। এর ফলে মাটির ভিতর পাইল স্থাপনের সময় অনেক পাইল ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া পাইলগুলো অপসারণ না করেই স্থাপন করা হয়েছে। পাইলের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে রড বেড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ১৭টি পাইল স্থাপন করা হয়েছে। মোট ১২৩টি পাইল স্থাপন করা হবে। এ ভাবে নিন্মমানের পাইল স্থাপন করায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শামসুল আলম মিয়া বলেন, ‘পাইল স্থাপনে অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি।  এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব বলে জানিয়েছেন।’
নির্মাণ কাজের তদারকী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আব্বাস অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ডাবল পাইল স্থাপন করতে গিয়ে হ্যামারিং এর সময় ফেটে যেতে পারে। আমরা হাইড্রোলিক মেশিন দিয়ে নতুন করে বসানোর চেষ্টা করছি। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জানায়, হাইড্রোলিক মেশিন দিয়ে বসানো অনেক ব্যায় বহুল। যে কারনে ওই মেশিন দিয়ে বসানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জাকির হোসেন বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়টি আমি শুনেছি। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবেনা।’