• ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতারক পিতা-পুত্র গ্রেফতার, পরিচয় দিতো মন্ত্রী-সচিব-উপদেষ্টা-পুলিশ প্রধানের

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০২০, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
প্রতারক পিতা-পুত্র গ্রেফতার, পরিচয় দিতো মন্ত্রী-সচিব-উপদেষ্টা-পুলিশ প্রধানের
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেক্স:
মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণাই ছিল পিতা-পুত্রের পেশা। পুলিশের কাছে বাবা গোলাম মোহাম্মদ কালু ও পুত্র আদরের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তদন্তে নামে পুলিশ। প্রতারণার একাধিক মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পেতে থাকে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নানান অভিযোগ তদন্ত শেষে বাবা-ছেলেসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ মাদকও।
বাবা গোলাম মোহাম্মদ কালু ও পুত্র আদরের মন্ত্রী, সচিব, উপদেষ্টা, পুলিশ প্রধান পরিচয়ে প্রতারণা করা সেই বাবা-ছেলে। পুলিশ বলছে, বৈধ কোনো উপার্জন না থাকলেও তাদের কাছে পাওয়া গেছে দামী গাড়ি, অবৈধ অস্ত্র। থাকতেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে, খাবার খেতেন অনলাইনে অর্ডার দিয়ে। তাদের কাজই ছিল প্রতারণা। পুলিশ বলছে রাজধানী ধানমণ্ডির অভিজাত ভবন পরিবারসহ থাকেন বাবা গোলাম মোহাম্মদ কালু ও তার ছেলে গোলাম মোস্তফা আদর। কিন্তু তাদের কোন বৈধ ব্যবসা বা কোন আয় ছিল না। গ্রেফতারের পর আরো অভিযোগ আসছে পুলিশের কাছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা ধারের টাকা ফেরত চাইলে আদর তার খালাতো ভাই ও ড্রাইভারকে দিয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেন। ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসিফকে অপরহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু হত্যার পর আবারো নিহতের পরিবারের কাছে দাবি করেন মুক্তিপণ। বলা হয় টাকা দিলে ফিরবে তাদের ছেলে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তারা অভিনয় করেন। কখনো বাবা হয়ে যান মন্ত্রী। ছেলে তার সঙ্গে আঙ্কেল বলে কথা বলেন। আদরের স্ত্রী হয়ে যায় কোন এক মন্ত্রীর কন্যা। তারা টেলিফোনে কনভারসেশন শুনিয়ে বোকা বানান। তারপর টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন।
পুলিশ বলছে শুরুতে বাবা গোলাম মোহাম্মদ কালু জমি, গ্যাসের লাইনের দালালি, ঋণের জন্য জমি বন্ধক রাখার নামে প্রতারণা করতেন। তার হাত ধরেই এই পথে আসেন  ছেলে আদর। বাবা-ছেলে তাদের কয়েক আত্মীয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন পারিবারিক প্রতারক চক্র। পুত্র আদরের আয়ের আরেকটি বড় উৎস নারীদের ব্ল্যাকমেইল করা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান আরও জানান, জামিন করিয়ে দেয়া। মামলা করা বা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া এসকল তদবির করার নামে মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে তারা।