Home অন্যান্য অপরাধ ও দূর্নীতি বাউফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে চলছে ১০ ডায়াগনোস্টিক

বাউফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে চলছে ১০ ডায়াগনোস্টিক

নয়ন সিকদার, বাউফল ॥

পটুয়াখালীর বাউফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহাল তবিয়তে চলছে ১০ ডায়াগনোস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার। নির্দেশনার দুই সপ্তাহ অতিক্রম হলেও এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি ওই প্রতিষ্ঠানগুলো। বিধি বহির্ভুতভাবে কার্যক্রম পরিচালনার কারনে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয় এসব ডায়গনোস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টারগুলোকে।

জানা গেছে, অদক্ষ চিকিৎসক, এমবিবিএস চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যাতিত প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান, মানহীন প্যাথলজি, এক্সরে রুম না থাকা, প্যাথলজিতে এসি না থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, অপ্রতুল যন্ত্রপাতি আর দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স নবায়ন না করায় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত ২৪ আগস্ট এর পৃথক চিঠিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ডাগনোস্টিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বলা হয়।

যার অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, পরিচালক হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ, পরিচালক স্বাস্থ্য বরিশাল বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পটুয়াখালী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কে প্রদান করা হয়। পৌর শহরের সেবা/কথামনি ও ইসেব ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, কালাইয়ার বন্দরের নুহা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, কালিশুরী বন্দরের মেডিকেয়ার ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, নওমালার নগরের হাট ডায়াগনোস্টিক এ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, আদাবাড়িয়ার তাহসিন গ্রীন লাইফ মেডিকেল সার্ভিসেস, আদাবড়িয়ার কাশিপুরবাজার এলাকার নিউ কাশিপুর ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, কনদিয়ার কনকদিয়া প্যাথলজি সেন্টার, নুরাইনপুর বন্দরের নিউ লাইফ হেলথ কেয়ার ডায়া: সেন্টারগুলো নির্দেশনা উপেক্ষা করে মালিক পক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বহাল তবিয়তে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণী কোন চার্ট বা সাইনবোর্ডও ঝোলানো নেই এ সকল প্রতিষ্ঠানে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ গজের মধ্যে থাকা ডায়াগনোস্টিকগুলোতে সেবা নিতে আসা রোগীরা মানহীন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রতারিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সকল প্রতিষ্ঠানের একাধীক কর্মচারী জানান, এখন পর্যন্ত কোন অফিসের লোক এসে আমাদের কোন ডায়াগনিস্টিক বন্ধ করতে বলেনি: তবে দুই সপ্তাহ আগে জেলা থেকে বড় স্যারেরা আসছিলো । এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে খোঁজ নেয়া হয়েছে।

দুই একদিনের মধ্যে তাদের সকল কার্যক্রম বিধির মধ্যে চলে আসবে। ইউএনও জাকির হোসেন জানান, ‘পটুয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ডায়াগনোস্টিক ও প্যাথলজি সেন্টার বন্ধে চিঠির অনুলিপি পেয়েছি। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। কোন ধরণের সহোযোগিতাও চায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মোবাইল কোট পরিচালনা সহ যে কোন সময় কার্যকর পদক্ষেপে নেয়া হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

গরমও আসে ভারত থেকে

দখিনের সময় ডেস্ক: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের...

বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, আর বাড়বে না তাপমাত্রা

দখিনের সময় ডেস্ক: নতুন করে তিন দিনের হিল অ্যালার্ট জারি হলেও চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই উত্তর পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি...

আমার লাশটি কাদের ভাইকে উৎসর্গ করে গেলাম

কলামের শিরোনাম দেখে যে কারও মনে একাধিক প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে দুটি প্রধান। এক. যেখানে সরকারি দফাদারকেও ‘স্যার’ বলার অঘোষিত বাধ্যবাধকতা দাঁড়িয়ে...

প্রতি বছর বিশ্বে সাপের কামড়ে মারা যায় দেড় লাখ মানুষ

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৪৫ থেকে ৫৫ লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হয়। এর মধ্যে ৮০ হাজার থেকে ১লাখ ৪০ হাজারের...

Recent Comments