• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামুনুল হক আমার স্বামী না,  আদালতে ৪১ বার বললেন ঝর্ণা

দখিনের সময়
প্রকাশিত নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০৮:১১ পূর্বাহ্ণ
মামুনুল হক আমার স্বামী না,  আদালতে ৪১ বার বললেন ঝর্ণা

মামুনুল হক ও জান্নাত আরা ঝর্ণা (ফাইল ছবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার কথিত স্ত্রী ও মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা। গত ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভনে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন ওই নারী। তবে মামুনুল হক তাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন। কিন্তু  আদালতে ৪১ বার বললেন ঝর্ণা, ‘মামুনুল হক আমার স্বামী না।’

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হাসানের আদালতে ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনাসহ সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন জানান, ‘৪১ বার বাদী ঝর্ণাকে মামুনুল হকের আইনজীবীরা বলেছেন আপনি মামুনুল হক এর স্ত্রী। জবাবে প্রতিবারই না বলেছেন ঝর্ণা বেগম।

ঝর্ণার বরাত দিয়ে আইনজীবী রকিবুদ্দিন আরও দাবি করেছেন, ‘ঝর্ণার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাদে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার। পরবর্তীতে বিবাহ বিচ্ছেদ হলে মামুনুল হক তাকে নানা জায়গায় নিয়ে যেতেন এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতেন।’  এই জবানবন্দি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা ঝর্ণাকে জেরা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. জয়নুল আবেদীন মেসবাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণা মেডিকেল টেস্টে বলেছেন তিনি মামুনুল হকের কালেমা পড়া স্ত্রী। মামুনুল হকের সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে এসেছেন। তাদের অনেকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় তিনি কোথাও মামলা কিংবা জিডি করেননি। কারও কাছে বলেননি।’

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এর কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা করেন। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।