বিশেষ প্রতিনিধি ॥
রাষ্ট্র-সমাজকে নিরাপদে রাখার জন্য যারা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তাদের ক’জনের খবর আমরা রাখি? আর শুধু পরিশ্রম নয়, জীবনও উৎসর্গ করার উদাহরণও রয়েছে অসংখ্য। জীবন উৎসর্গ করার এমনই একটি অমর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন র্যাব-৫ এর কর্পোরাল মোঃ শাহেদুজ্জামান। কর্পোরাল মো: শাহেদুজ্জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ ইবি থেকে প্রেষনে র্যাব-এ কর্মরত ছিলেন।
মাদকবিরোধী অভিযানে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কর্পোরাল শাহেদের এই বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ র্যাব ফোর্সেস এর সদস্যদের অদম্য মনোবল, দায়িত্ববোধ, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার এই প্রয়াণে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মা্হফুজুর রহমানসহ অফিসারবৃন্দ ও সকল স্তরের ফোর্স বর্ণণাতীত শোকে মুহ্যমান ও চরম মর্মাহত। মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে একজন শহীদের মর্যাদা প্রদান করে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।
উল্লেখ্য, সিপিসি-৩, র্যাব-৫, জয়পুরহাটের একটি আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডারের নেতৃত্বে গত ১৮ জুলাই জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পলায়নরত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য আভিযানিক দলের চৌকষ ও নির্ভিক এফএস সদস্য নং-৪৯৩৮৭০৫ কর্পোরাল মোঃ শাহেদুজ্জামান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর সংগীয় সহকর্মীগণ তাকে নদী থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। অনতিবিলম্বে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)।
কর্পোরাল মোঃ শাহেদুজ্জামান ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত এবং সাত বছর বয়সী দুজন জমজ কন্যা সন্তানের জনক। কর্মজীবনে সৎ, সাহসী, বিনয়ী ও বন্ধুবৎসল কর্পোরাল মোঃ শাহেদুজ্জামান-এর মৃতদেহ যথাযোগ্য মর্যাদায় বিধি মোতাবেক তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার স্থায়ী নিবাস বোচাগঞ্জ, দিনাজপুরে অবস্থিত পারিবারিক কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।