বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দরিদ্রদের ১০টাকা কেজি চাল ফেয়ার প্রাইজ কার্ড অনলাইন নিবন্ধনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা এ টাকা আদায় করেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে। বিষয়টি কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বীকার করলেও অন্যান্য চেয়ারম্যানগন বিষয়টি জানেনা বলে জানান।
সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকার দরিদ্র পরিবারকে ১০টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল বিতরন কর্মসূচি নেয়। এর আওতায় বাউফল উপজেলায় ফেয়ার প্রাইজ কার্ড রয়েছে ১৫ হাজার ১৬৮টি। সম্প্রতী খাদ্য অধিদপ্তর ঘোষনা দেয় এসকল কার্ড গুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল কেন্দ্রে দায়িত্বরত উদ্যোক্তাদের দিয়ে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে। প্রতি কার্ডের জন্য ওই উদ্যোক্তা ১৫টাকা করে পাবে। যা সরকার পরিশোধ করবে। অভিযোগ উঠেছে, ফেয়ার প্রাইজ কার্ড ধারীরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের কাছে গেলে তারা ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। যদি কোন কার্ডধারী উদ্যোক্তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা না দেয় তাহলে তারা হয়রানীর স্বীকার হন। সম্প্রতী ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সেখানে দেখা যায় ফেয়ার প্রাইজ কার্ড ধারীদের কাছ থেকে অনলাইন নিবন্ধন করতে ১০০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। খোজঁ নিয়ে জানা গেছে ভিডিওটি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ঘটনা।
টাকা নেওয়ার বিষয়টি কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু স্বীকার করে বলেন, নিববন্ধন করতে পরিশ্রম করতে হয়। অনেক সময় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যায়। যার কারনে ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল দে বলেন, প্রতিটা কার্ড অনলাইনে নিবন্ধন করার জন্য উদ্যোক্তাকে ১৫টাকা করে দেওয়া হবে। কার্ডধারীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া যাবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আল আমিন বলেন, এ বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।