• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ সম্পদ এখন ডিবির সাবেক ওসির গলার ফাঁস, চার্জশিট অনুমোদন

দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ২৪, ২০২৩, ১৮:৫৪ অপরাহ্ণ
অবৈধ সম্পদ এখন ডিবির সাবেক ওসির গলার ফাঁস, চার্জশিট অনুমোদন
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
অর্ধ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাবেক ওসি মো. আবুল হাসেম খানের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঝিনাইদহ থেকে অবসরে যাওয়া আবুল হাসেম খানের চার্জশিটে ৬৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শিগগিরই যশোরের জেলা কার্যালয় থেকে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ ( ২ ) ও ২৭ (১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. আবুল হাসেম খান ১৯৭৭ সালে এসএসসি পাস করার পর পুলিশ বিভাগে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করে ১৯৮৩ সালে সাব ইন্সপেক্টর ও ১৯৯৭ সালে পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে চাকরিরত অবস্থায় ২০১৮ সালে অবসরগ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে আনা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। যার আলোকে ২০২০ সালে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে বাস্তবে অমিল পাওয়া যায়।
সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায়, হাসেম খান ঢাকায় কর অঞ্চল-৪ এর ৭৬ নম্বর কর সার্কেলে ২০০৯-১০ করবর্ষে আয়কর নথি খুলেছেন। সেখানে তিনি প্রারম্ভিক সম্পদ দুই লাখ ৮৭ হাজার ১২১ টাকা দেখিয়েছেন। ২০১০-১১ থেকে ২০১৯-২০ করবর্ষ পর্যন্ত তিনি মোট ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৪২ টাকা আয় এবং একই সময়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যয় প্রদর্শন করেছেন।
অবসরপ্রাপ্ত ওসি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৯ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং ৩২ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৮ টাকা মূল্যমানের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, মো. আবুল হাসেম খান তার নিজ নামে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও  ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪২ লাখ ২১ হাজার টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। দুদকের তদন্তে তার ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৪০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৭৫ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৯ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ মিলেছে।