• ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরে গেলেন পরীমনি

দখিনের সময়
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০২২, ১৫:৪১ অপরাহ্ণ
ফিরে গেলেন পরীমনি
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক:

আদালত না বসায় আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি মাদক আইনের মামলায় আদালতে এসে ফিরে গেলেন। আজ রোববার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলাটি চার্জগঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে আজ আদালত বসেনি।

এদিন হাজিরা দিতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই আদালতে হাজির হন পরীমনি। ততক্ষণে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমানের মৃত্যুর জন্য এদিন আদালত বসবে না সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। ফলে বিচারক নজরুল ইসলাম খাসকামরায় বসে মামলার চার্জশুনানির জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর আগে গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ুবুর রহমান মারা যান। রোববার বেলা ১১টায় ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত ৪ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা। এরপর গত ১৩ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নেয়। এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। তারাও আদালতে হাজির ছিলেন। দুপুর পৌনে একটার দিকে পরীমনিসহ আসামিরা আদালত থেকে ফিরে যান।

গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। ওই সময় বাসা থেকে ১৯টি বোতলে ১৮ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি নামক মাদক জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় র‌্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। পরীমনি গত ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত ৫ আগস্ট চার দিনের ও গত ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড পাঠান আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে মামলায় তৃতীয় দফা গত ১৯ আগস্ট ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

ওই রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ কারাগারে থাকা পরীমনিকে অসুস্থ, নারী, অভিনেত্রী, মাদকের পরিমাণ বিবেচনায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন প্রদান। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি কারামুক্ত হন।