দখিনের সময় ডেস্ক:
বিশিষ্টি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণকারী চিরকালের শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরেন। এ অবস্থায় তাকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ আলেকান্দার আল-মাহেদী জামে মসজিদ চত্বরে বাদ জোহর মরহুমের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নিউ ভাটিখানায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পলাশপুরে কাজীর গোরস্তানে মায়ের কবরের পাশে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর কর্মজীবন শুরু হয় বরিশাল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানর লেকচারার হিসেবে। সে সময় বরিশাল কলেজ বেসরকারী ছিলো্। এর পর তিনি সরকারী কলেজের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
কর্মজীবনে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। সিলেটের এমসি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
ব্রজমোহন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে গোলাম রাব্বানী অনার্স-মাষ্টার্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। মনেপ্রাণে মার্ক্সীয় চিন্তার অনুসারী ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ লেখক শিবির’ বরিশাল ইউনিট গঠন হলে তিনি এর প্রথম জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে সিলেট এম.সি কলেজে নিয়োগ পেলে তিনি সেখানে চলে যান। এরপর সিলেটই হয়ে ওঠে তাঁর ঠিকানা। একবছর আগেও ওখানকার একটি বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ’র দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি লেখক শিবির সিলেট ইউনিট সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। লেখক, শিক্ষাবিদ, সংগঠক অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই সংগঠনের সাথেই যুক্ত ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
বছরখানেক আগে তিনি বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী দেশ-সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতেন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করতেন।