কোরবানি শুধুই পশু জবাই নয়—এ এক ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের প্রতীক। এই ইবাদতের উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তাই এখানে সততা ও নিয়তের বিশুদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ একা, কেউ গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কোরবানি দিয়ে থাকেন। গরু, উট বা মহিষের কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারেন। তবে তাদের সবার নিয়ত হতে হবে একটাই—ইবাদতের উদ্দেশ্যে কোরবানি, শুধুই গোশতের জন্য নয়।
শরিকানায় কোরবানি দিলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—প্রত্যেক শরিকের অংশ যেন সমান হয়। কেউ যদি এক সপ্তমাংশের কম অংশে শরিক হয়, বা বেশি নিতে চায়—তাহলে সে কোরবানি শুদ্ধ হবে না। অর্থাৎ, কেউ যদি অর্ধেক নেয়, কেউ দেড়ভাগ—এমন হলে কারো কোরবানিই গ্রহণযোগ্য হবে না। এক্ষেত্রে শরিকদের সবার অংশ অর্থ এবং নিয়ত—দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাসঙ্গিকভাবে বলা দরকার, গরু বা উটে যেমন সাতজন শরিক হতে পারেন, তেমনই ছাগল, ভেড়া বা দুম্বায় একমাত্র একজনই কোরবানি দিতে পারবেন। একাধিক ব্যক্তি মিলে ছোট পশু কোরবানি দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগেও সাহাবায়ে কেরাম গরু ও উটে সাতজন করে শরিক হতেন, হাদিসে তা স্পষ্টভাবে বর্ণিত। তাই শরিকানার নিয়মগুলো জানা ও মানা জরুরি, নয়তো বড় একটি ইবাদত অনিচ্ছায় বাতিল হয়ে যেতে পারে।