
দখিনের সময় ডেস্ক:
কোরবানি হলো এক মহিমান্বিত ইবাদত, যার মধ্যে আত্মত্যাগের গভীর তাৎপর্য নিহিত। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু জবাই করার মাধ্যমে মুসলমানরা এই ইবাদত সম্পন্ন করেন। তবে কোরবানির পশু নির্বাচনে কিছু শর্ত ও দোষ-ত্রুটির বিষয়েও সতর্ক থাকতে হয়, কারণ নির্দিষ্ট কিছু ত্রুটি থাকলে পশু কোরবানির জন্য গ্রহণযোগ্য হয় না। ঈদুল আজহার দিন কোরবানির পশু সঠিক নিয়মে জবাই করা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আমল হিসেবে বিবেচিত। তাই ঈদ আসার আগে অনেকেই আগে থেকেই পশু কেনেন এবং এমন সময় একটি বিশেষ দোয়া পড়ার Sunnah রয়েছে, যা রসুলুল্লাহ (সা.) শিখিয়েছেন।
পশু কেনার পর পড়ার জন্য দোয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ভাষ্য হলো:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَمِنْ شَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ
(উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা আলাইহ, ওয়া আউজু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা আলাইহ)।
অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ পশুর কল্যাণ এবং যা প্রকৃতির ওপর আপনি এ প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন তার কল্যাণ প্রার্থনা করছি, এবং একই সঙ্গে তার অকল্যাণ ও ক্ষতি থেকে আপনার আশ্রয় চাই।” (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২১৬০)। হাদিসে বলা আছে, যখন কেউ পশু কিনে, তখন সে যেন তার পশুর ওপর হাত রেখে এই দোয়া পড়েন।
আরেকটি ছোট ও উত্তম দোয়া যা আলেমগণ পশু কেনার পর পড়ার পরামর্শ দেন, তা হলো:
اللَّهُمَّ هٰذِهِ مِنْكَ وَلَكَ، تَقَبَّلْهَا مِنِّي
(উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাজিহি মিনকা ওয়ালাকা, তাকাব্বালহা মিন্নি)।
অর্থ: “হে আল্লাহ! এই পশুটি আপনার পক্ষ থেকে এবং আপনারই জন্য। আপনি এটি আমার পক্ষ থেকে কবুল করে নিন।” এছাড়াও, পশু জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবারের সঙ্গে এই দোয়া পাঠ করা সুন্নত। এই দোয়া পশু কেনার পরও পড়া যায়, যা নেক আমল হিসেবে গণ্য।
Post Views: ৯৯