দখিনের সময় ডেস্ক:
খুশবু আহিরওয়ার নামে এক মডেলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২৭ বছর বয়সী খুশবুকে ভোরে তার প্রেমিক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনা ভারতের মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলায়। খুশবু স্থানীয় মডেলিং জগতে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তার হাজার হাজার অনুসারী ছিল এবং তিনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতেন।
জানা গেছে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুশবুকে মৃত ঘোষণা করার পর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে তার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোপালের গান্ধী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। খুশবুর মা লক্ষ্মী আহিরওয়ার অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরজুড়ে নীল দাগ, মুখ ফোলা এবং ব্যক্তিগত অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুশবুর বোন বলেন, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরিবারের দাবি, খুশবু প্রায় তিন বছর ধরে ভোপালে থাকতেন এবং কিছুদিন ধরে কাসেম নামে এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তিন দিন আগে কাসেম খুশবুর মাকে ফোন করে বলেন, আমি মুসলমান, কিন্তু আপনার মেয়ে আমার সঙ্গে আছে। আমরা উজ্জয়িন যাচ্ছি। পরে খুশবুও ফোনে বলেন, চিন্তা করো না মা, কাসেম ভালো মানুষ। সেটিই ছিল পরিবারের সঙ্গে খুশবুর শেষ কথা।
এদিকে, পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত কাসিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ও খুশবু উজ্জয়িন থেকে ভোপাল যাচ্ছিলেন। পথে ব্যারাগড়ের কাছে খুশবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এরপর তাকে দ্রুত চিরায়ু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কাসিম আগে অবৈধ মদ ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলেও গিয়েছিলেন।