• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার আড়াই বছরের জেল

দখিনের সময়
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২২, ২৩:২৩ অপরাহ্ণ
স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার আড়াই বছরের জেল
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক:

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) দুই বছর ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় শামসুদ্দোহাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্ত্রী ফারজানা খন্দকার। পরে এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শামসুদ্দোহাকে কোতোয়ালি থানায় আনা হয় এবং বিচারের জন্য ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহ মো. আবু জাফর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট ফারজানার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শামসুদ্দোহার। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে শামসুদ্দোহা তাকে তার কর্মস্থল যশোরে নিয়ে যান। সেখানে তারা ভাড়া বাসায় থাকতেন। এরপরই শুরু হয় ফারজানার ওপর নির্যাতন।

ফারজানা জানতে পারেন, অন্য নারীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িত শামসুদ্দোহা। এ নিয়ে বাধা দিলেই বাধে বিপত্তি। এর কিছুদিন পর শামসুদ্দোহা প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা ফারজানার বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বললে তিনি ১৫ লাখ টাকা এনে দেন। এতেও কমেনি নির্যাতনের মাত্রা। শামসুদ্দোহা প্রতিদিন নেশা করে মারধর করত বলে দাবি করেন ফারজানা। তিনি যখন বাবার বাড়ি চলে আসেন তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বাবার বাড়িতেই ছেলে সন্তানের মা হন। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর।