সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় পিরোজপুরে ভাণ্ডারিয়া উপজেলায়। হত্যার অভিযোগে স্বামী মুনিম জমাদ্দার ও শাশুড়ি ছবি আক্তারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জমাদ্দারের ছেলে মুনিম জমাদ্দার কয়েক বছর আগে ভাণ্ডারিয়ার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের কারণে মুক্তাকে তার স্বামী মারধর করেন। এ ঘটনার পর মুক্তা তার বাবার বাড়ি চলে যায়। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মুনিম গিয়ে মুক্তাকে নিয়ে আসে। পরে মুক্তাকে নিয়ে ভাণ্ডারিয়ার রামপুর ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুনিমের বেশ কয়েকজন বন্ধুরা উপস্থিত ছিল। তাদের সহযোগিতায় হিজাব পেঁচিয়ে মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বেড়িবাঁধের পাশে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান জানান, রাতে অজ্ঞাতনামা একটি ফোন থেকে হত্যার ঘটনা জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মুক্তার স্বামী মুনিম, শাশুড়ি, শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজিব নামের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান ওসি আশিকুজ্জামান।