দখিনের সময় ডেস্ক:
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার তিনটি শাখায় প্রায় ৪শ শিক্ষক-কর্মচারীর সন্ধান পাওয়া গেছে যাদের নিয়োগ অবৈধ। তাদের পেছনে এরই মধ্যে সরকারের প্রায় শত কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর ছাত্ররা পেয়েছে নিম্নমানের শিক্ষা। নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকের নিবন্ধন সনদ নেই। এমনকি এডহক কমিটির তাদের ক্ষমতার বাইরে এ নিয়োগ দিয়েছে। এসব অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের শনাক্ত করতে কাজ করছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
এক সময়ের নাম করা আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) একটি তদন্ত চালিয়েছে। দেড় বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে এর প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে সম্প্রতি। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে ২০১১-১২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে মতিঝিল, মুগদা ও বনশ্রী এই তিন শাখায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ যাচাই-বাছাই করে ৩৯০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ অবৈধ বলে প্রমাণ পাওয়াগেছে।
অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বেশিরভাগ শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ নেই। আবার অনেকে জাল সনদে চাকরি করছেন। এভাবে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় শত কোটি টাকা বেতন-ভাতা নিয়েছেন। ডিআইএ-এর প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বিধি বহির্ভূতভাবে নেওয়া বেতন-ভাতা যেন সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়া হয়। নিয়োগ বোর্ডের কাগজপত্রে দেখা যায়, ২০১৮-২০১৯ সালে ৮৯ জন শিক্ষককে বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।