• ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলিশ রপ্তানিতে অঘোষিত আর্থিক কারসাজির অভিযোগ

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ২০:৩৯ অপরাহ্ণ
ইলিশ রপ্তানিতে অঘোষিত আর্থিক কারসাজির অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন...
দখিনের সময় ডেস্ক:
দেশে বাজারদর যেখানে আকাশছোঁয়া, সেখানে কাগজে-কলমে ভারত যাচ্ছে ইলিশ অনেক কম দামে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে—রফতানিকারকরা কি লোকসান দিচ্ছেন? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য হিসাব? অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য—সরকার নির্ধারিত দামে রপ্তানির আড়ালে আসলে চলছে বড়সড় হুন্ডি কারবার।
২০১৯ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুমতিতে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। চলতি বছরও ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন মিলেছে। তবে রপ্তানির জন্য সরকার প্রতি কেজির মূল্য ঠিক করেছে ১২.৫ ডলার বা প্রায় ১,৫০০ টাকা, যা স্থানীয় বাজারদরের তুলনায় কেজিতে ২০০-২৫০ টাকা কম। অথচ আড়ৎ থেকে রফতানিকারকরা কিনছেন বাজারদরেই। এরপরও কলকাতার বাজারে সেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে—প্রতি কেজি প্রায় ২,৭০০ টাকায়। ফলে কাগজে-কলমে কম মূল্যে রপ্তানি হলেও আসল খেলা জমছে ভারতের বাজারে, আর লাভ তুলছেন ব্যবসায়ীরা গোপন পথে।
এই লাভের টাকা সরাসরি দেশে ফিরছে না। বৈধ এলসির বাইরে অতিরিক্ত মুনাফা আসছে হুন্ডির মাধ্যমে। ফলে ব্যবসায়ীরা মোটা অঙ্কের টাকা পাচ্ছেন, কিন্তু দেশ হারাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু এবারের রপ্তানিতেই হুন্ডির মাধ্যমে প্রায় ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে ইলিশ ভারত হয়ে যাচ্ছে ইউরোপ, সিঙ্গাপুর এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও। আর নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে উৎসবের মৌসুমে চলে চোরাই রুটে পাচার। সব মিলিয়ে দেশের অন্যতম জাতীয় মাছ এখন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আর হুন্ডির জালে আটকে পড়েছে।