• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকাপ্রকাশ- এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেন মোস্তফা কামাল

দখিনের সময়
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০২১, ০০:০৩ পূর্বাহ্ণ
ঢাকাপ্রকাশ- এর প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেন মোস্তফা কামাল
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক:

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মোস্তফা কামাল দ্বিভাষিক অনলাইন সংবাদপত্র ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে খুব শিগগিরই ঢাকাপ্রকাশ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে। মোস্তফা কামাল এর আগে দৈনিক কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত তিনি পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বরিশালের কৃতি সন্তান মোস্তফা কামাল ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করেন। তবে ১৯৯১ সালে একজন রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। বিগত ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে তিনি মূলত ‘সংবাদ’, ‘প্রথম আলো’ ও ‘কালের কণ্ঠে’ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সংবাদ সম্পাদক আহমদুল কবির ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বজলুর রহমান এবং প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিনি কূটনৈতিক প্রতিবেদক ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে টানা ১৬ বছর ‘কূটনৈতিক বিটে’ কাজ করেন। ওয়ান-ইলেভেনের বিভীষিকাময় দিনগুলিতে তিনি প্রথম আলোর চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি, নেপালের রাজতন্ত্রবিরোধী গণঅভ্যুত্থান, শ্রীলঙ্কায় তামিল গেরিলা সংকট, পাকিস্তানে বেনজীর ভুট্টো হত্যাকাণ্ড কভার করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছেন মোস্তফা কামাল। তিনি আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি, নেপালের রাজতন্ত্রবিরোধী গণঅভ্যুত্থান, শ্রীলঙ্কায় তামিল গেরিলা সংকট, পাকিস্তানে বেনজীর ভুট্টো হত্যাকাণ্ড কভার করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার ও কর্মশালায় যোগ দেন এবং অসংখ্য প্রতিবেদন ও নিবন্ধ লিখে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন।

মোস্তফা কামাল বাংলাদেশের দুটি প্রধান দৈনিক ‘প্রথম আলো’ ও ‘কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকেই দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি প্রতিষ্ঠিত। তিনি লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন ১৯৮৪ সালে। তবে তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই রয়েছে তার বিচরণ। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১১৪টি। তার সাড়া জাগানো উপন্যাস, ‘অগ্নিকন্যা’, ‘অগ্নিপুরুষ’, ‘অগ্নিমানুষ’, ‘১৯৭৫’, ‘জননী’, ‘জনক জননীর গল্প’, ‘পারমিতাকে শুধু বাঁচাতে চেয়েছি’, ‘জিনাত সুন্দরী ও মন্ত্রীকাহিনী’, ‘হ্যালো কর্নেল’ ‘মানবজীবন’, ‘অপরাজিতা’ প্রভৃতি। ২০১৮ সালে ভারতের নোশন প্রেস থেকে বেরিয়েছে তার তিনটি উপন্যাসের ইংরেজি সংকলন ‘থ্রি নভেলস্’। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয় ‘দ্য মাদার’।

মোস্তফা কামালের জন্ম বরিশালের আন্ধার মানিক গ্রামে। সেখানেই কাটে কৈশোর ও শৈশব। তিনি বরিশালৈ দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তারপর থেকে ঢাকায় নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলা। তার উচ্চশিক্ষা ইংরেজি সাহিত্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মোস্তফা কামাল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল ও ভুটান সফর করেন। তিনি দেশে-বিদেশে সহস্রাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নেন। কলামিস্ট হিসেবেও রয়েছে তাঁর বিশেষ খ্যাতি। তাঁর অবসর কাটে বই পড়ে, গান শুনে। তিনি বিবাহিত। স্ত্রী মিনু আফরোজ একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার দুই সন্তান। মেয়ে মুগ্ধতা কামাল আফরোজ ও ছেলে মুহিত কামাল মনন।