Home লাইফস্টাইল কখন বুঝবেন চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন?

কখন বুঝবেন চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন?

দখিনের সময় ডেস্ক:
কাজের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব বা একটা দিন ছুটি কাটালেও নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকা, সবাই আপনার কর্মজীবনের জন্য ক্ষতিকর। চাকরি যদি সঠিক হয় তবে তা আপনাকে নিরাপদ, সুখী এবং কর্মক্ষম রাখবে। যদি বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তবে বুঝে নেবেন আপনি ভুল জায়গায় আছেন। কখন বুঝবেন আপনাকে চাকরিটি ছাড়তে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা বোধ: কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করা হলো কোনোকিছুতে ভুল হওয়ার একটি শক্তিশালী লক্ষণ। এটি অতিরিক্ত কাজের চাপ, ব্যর্থতার ভয়, বা হিংসুটে সহকর্মীর কারণেও হতে পারে। কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা চাকরির নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে। এই অনুভূতিগুলি অব্যাহত থাকলে আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য কাজের পরিবেশ পরিবর্তন করা জরুরি হতে পারে।
২. অবিরাম ক্লান্তি: আপনি যদি কাজ করতে গিয়ে ক্রমাগত শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করেন তবে সেই কাজ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে। স্ট্রেস শুধুমাত্র আপনার কর্মক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে না, এটি স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক সুখকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি ক্লান্তি লেগেই থাকে তবে চাকরি পরিবর্তন করার কথা ভাবতে পারেন।
৩. নেতিবাচক পরিবেশ: কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে গসিপিং, অফিস পলিটিক্স ইত্যাদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন জায়গায় কাজ করা উচিত নয় যা আপনাকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে, আপনার মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়।
৪. চাকরি ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য না থাকা: যদি অফিসের পেছনেই দিনের সবটা সময় ব্যয় করতে হয় তবে ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছুই থাকবে না। এই ভারসাম্যহীনতা বড় বিরক্তি, হতাশা এবং ক্লান্তিকর অনুভূতির কারণ হতে পারে। ক্রমাগত দীর্ঘ সময় কাজ করা বা কাজের সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এই অভ্যাস মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
৫. অবমূল্যায়িত হলে: যখন আপনার কঠোর পরিশ্রম নিয়মিতভাবে উপেক্ষা করা হয় বা আপনাকে ন্যায্য অর্থ প্রদান করা না হয়, তখন বুঝে নেবেন সেখানে আপনাকের কাজের মূল্যায়ন নেই। যখন আপনার অবদান বিবেচনা করা হয় না, অতিরিক্ত কাজ করার পরও অসংখ্যবার পদোন্নতির জন্য উপেক্ষিত হন এবং কাজের তুলনায় বেতন সামান্য দেয় তখন তা ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। কাজ এবং আপনি যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য আপনার প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে চাকরি

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এভিয়েশন সিকিউরিটি পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গতকাল ৩০ অক্টোবর থেকেই আবেদন...

দেড় ঘণ্টার রাস্তা ৫ মিনিটে পৌঁছে দেবে উড়ন্ত ট্যাক্সি, ভাড়া কত

দখিনের সময় ডেস্ক: আধা ঘণ্টার হাঁটার পথ গাড়িতে পাড়ি দিতে ঘণ্টা পার হয়ে যায় জ্যামের কারণে— এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হয়েছেন। এবার সেই ভোগান্তি থেকে...

স্মার্টফোন যেভাবে শিশুদের ক্ষতি করে

দখিনের সময় ডেস্ক: স্মার্টফোন প্রায় সবার জন্য দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি শিশুর থেকে দূরে রাখা মুশকিল। তাইতো স্মার্টফোন যেমন তাদের জন্য...

ঢালাও মামলায় সরকার বিব্রত : আইন উপদেষ্টা

দখিনের সময় ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্টের পর থেকে সাধারণ মানুষের করা ঢালাও মামলায় সরকার বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ...

Recent Comments