• ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিবিডি বরিশাল জেলা ও বিইপিএ এর যৌথ উদ্যোগে নগরীতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভিজান

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, ২০:০৭ অপরাহ্ণ
ভিবিডি বরিশাল জেলা ও বিইপিএ এর যৌথ উদ্যোগে নগরীতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভিজান
সংবাদটি শেয়ার করুন...
কাজী হাফিজ, ববি প্রতিনিধি:
যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যাপারটা আমাদের অন্যতম বদ-অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।ফলস্বরূপ একদিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ অন্যদিকে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণে আমাদেরই স্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়ছে। ডাস্টবিন থাকলেও কিন্তু করছি না তার যথাযথ ব্যবহার।
‘World Cleanup Day’ উপলক্ষে ভলেন্টিয়ারস ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) বরিশাল জেলা ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন অথরিটির(বিইপিএ) এর যৌথ উদ্যোগে ‘Cleanliness is Happiness, Phase-2’ শিরোনামে কৃত প্রোজেক্টের বাস্তবায়ন স্বরপ শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকান গুলোর কর্মরত মানুষদের হ্যান্ড ওয়াস দিয়ে হাত ধোয়ানো হয় এবং গ্লোভস পরিয়ে দেয়া হয় যাতে খাবার খেতে এসে ভোক্তারা স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেতে পারে।করোনা পরিস্থিতিতে যেন বারবার হাত ধুয়ে খাবার পরিবেশন করেন ও গ্লোভস ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে তাদের সর্তক করা হয়৷
এছাড়াও শহরের যেসব জনসমাগম স্থলে ডাস্টবিন নেই সেই সকল জায়গায় ডাস্টবিন দেয়া হয়। আমতলা মুক্তমঞ্চে ও পার্কের ময়লা আবর্জনার স্তূপও পরিষ্কার করেন ভলান্টিয়াররা। প্রোজেক্ট লিডার শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাই পারে সুস্থতা আনতে, প্রতিরোধের আগে প্রতিকারের অন্যতম উদাহরণ হলো পরিচ্ছন্নতা, বর্তমান পরিস্থিতিতে যা আরো বেশি প্রয়োজন সমাজ এবং জাতিকে সুস্থ রাখতে,সমাজ সুস্থ থাকলে সুস্থ থাকবে জাতি, সুস্থ থাকবে দেশ, তাই ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ আয়োজন করেছিল “Cleanliness is Happiness phase 2″যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্রিয় শহরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছি বলে মনে করি।
‘ প্রোজেক্ট কো-লিডার অর্পিতা রাণী দাস বলেন, ‘করোনাসহ যেকোনো সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের আশেপাশের (এলাকার / রাস্তায়) ময়লা আবর্জনা যদি আমরা waste bin এ ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তবে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং ময়লা আবর্জনার জন্য যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তা নিরসনে সহায়তা করবে। সর্বোপরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে। এই প্রজেক্টে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’ গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এই পরিষ্কার অভিজান।