• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের অনাচার এবং অভুক্ত বিএনপি

দখিনের সময়
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগের অনাচার এবং অভুক্ত বিএনপি
সংবাদটি শেয়ার করুন...
আলম রায়হান:
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং হেভিওয়েট সাংঙ্গাতদের নিয়ে পলায়নের পর, আওয়ামী লীগের নগ্ন কর্মকান্ডের চিত্র সবার কাছে পরিস্কার হয়েগেছে। পলাতক এই দলটিকে রাজনীতির মোড়কে হায়না মনে করা হয়। একই সাথে ৫ আগস্ট থেকে দেশবাসী বিএনপির যে রূপ দেখেছে তাতে এই দলটিকে ‘রূপবান’ সিনেমার নায়িকার মতো মানতে রাজী নন সাধারণ মানুষ। বরং অনেকেই, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রসঙ্গে ‘মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ’ প্রবচন আওড়াচ্ছেন।
যদিও বিচক্ষণ তারেক রহমান রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করেছেন শুরু থেকেই। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে বহিস্কার করেও রাশ টানার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলে অনেকেই ভাবতে চান না। আর যে দগদগে ঘা সৃষ্টি হয়েছে তা কবে ঘুচবে তা কিন্তু মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হয়েই আছে। এদিকে একেবারেই স্পষ্ট, তারেক রহমান আধুনিক দৃষ্টিকোন থেকে বিএনপিকে শুদ্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এর প্রভাব যে তৃনমূলে পৌছায়নি তার মূর্তমান উদাহরণ অনেক আছে। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছেন, বরিশাল বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদধারী এক ব্যক্তি। যার নামের সঙ্গে আবার দলের প্রতিষ্ঠাতার নামের আংশিক মিল রয়েছে। বিএনপির এই মামলাবাজ ও লুটেরা নেতাকে বলা হয়, ‘বরিশালের শেখ হাসিনা।’ যদিও এই দু’জনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্যের পাশাপাশি নারী-পুরুষ জেন্ডার বৈষম্য আছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে যে অনাচার করেছে তাতে এই দলটিকে অন্তত এক দশকের মধ্যে মানুষ সহানুভুতির চোখে দেখার কোন সম্ভাবনা নেই। এটি ইতিহাসের শিক্ষা। ফলে পলাতক আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ডামাডোলে খানিকটা ফিরে আসার সুযোগ পেলেও শেখ হাসিনার কপালে এই সুযোগ একেবারে সোনার পাথরবাটি। আর ১৫ বছরের অভুক্ত বিএনপির যে চেহারা ৫ আগস্ট থেকে নগ্নভাবে দেখা গিয়েছে তাও মোটেই শ্বস্তির নয় সাধারণ মানুষের কাছে। যদিও সারা দেশে বিএনপির ব্যানারে দখল বানিজ্যকে পুনঃরুদ্ধার বলে প্রলেপ দেবার ব্যর্থ চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি এই প্রচারনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক এক নেতাও নির্লজ্জভাবে সামিল হয়েছেন সম্প্রতি।
সবমিলিয়ে সামগ্রিক বাস্তবতায় পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, নতুন দল এলে মানুষ বিবেচনায় নিলেও নিতে পারে। তবে এ কিংস পার্টি হতে হবে দৃঢ় কাঠামোর উপর দাড়ানো, বর্তমান সরকারের মতো নড়বড়ে হলে তা হতে পাওে রংধনু। এ প্রসঙ্গে অনেকেই মনে করেন, অতীতের কিংস পার্টিগুলো ব্যর্থ হবার প্রধান কারণ ছিলো টিকটিকির লেজের মতো জন্মানো। আর ১/১১ কুশিলবদের দল গঠনের ব্যর্থতার প্রধান কারণ ছিলো রাজনীতির মেরুদন্ডে মাসেল পাওয়ার নিশ্চিত করতে না পারা। এছাড়া সেই সময়ের সেনা প্রধান জেনারেল মইনইউ আহমেদকে ঘোড়া উপহার দিলেও রাজনৈতিক দল গঠনের গ্রীন সিগনাল দেয়নি ভারত। আগ্রাসী এই দেশটির লক্ষ ছিলো, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে তাবেদার সরকার বসানো। এবং প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নানান নির্লজ্জ প্রক্রিয়ায় ভারত সফল হয়েছে। কিন্তু ভারতের ব্লুপ্রিন্ট এলোমেলো হয়েগেছে ৫ই আগস্ট। যদিও এখনো হাল ছাড়েনি কট্টর হিন্দু রাষ্ট্র আগ্রাসী ভারত।