মোঃ মৃদূল ইসলাম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মানুষের জীবনকে সহজ করার পাশাপাশি কিছু দুশ্চিন্তা তৈরি করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিজ্ঞানের প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া এবং সিস্টেমে নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা বা মডেল উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিজ্ঞানের মৌলিক উদ্দেশ্য হলো মানব জীবনকে উন্নত ও সুবিধাজনক সিস্টেম এবং সরঞ্জাম প্রদান করা, যা মানব জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। নতুন এই উদ্ভাবনের সাথে যুক্ত হয়েছে ChatGPT, Google Bard, Midjourney AI, Adobe firefly, 2short.ai এর মত অসংখ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) টুলস বা সফটওয়্যার। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এই নতুন AI কে উন্নত করা হয়েছে নানা ক্ষেত্রে। সাধারণ মানুষের জীবনে এর প্রভাব ফেলতে পারে যেমন শিক্ষা, ব্যবসা, স্বাস্থ্য সেবা, নিউজ এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান ইত্যাদি। নতুন এই প্রযুক্তি মানব জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাবিত হতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এর সম্ভাবনা সমূহঃ
১। স্বয়ংক্রিয় রোবটঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মানব জীবনের এক প্রধান সম্ভাবনা হলো স্বয়ংক্রিয় রোবট এবং মেকানিকাল উপকরণ বা মেশিনের সাথে সমন্বয় করা। এটি কৃষি, শিল্প ও নৌ-প্রকৌশল সেক্টরের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদনে সাহায্য করতে পারে।
২। শিক্ষা ও সাক্ষরতাঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারে এবং কার্যকর মৌলিক প্রশ্ন গুলির জন্য প্রশ্নোত্তর প্রয়োগ করতে পারে। সাথে সাথে, অনলাইন শিক্ষা এবং মোবাইলের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের উপায় হিসাবে এটি ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩। উন্নত উদ্যোগশীলতাঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) উন্নত উদ্যোগশীল কেন্দ্রিক করতে সাহায্য করতে পারে। স্বয়ংক্রিয় মেশিন লার্নিং এবং বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে উদ্যোগীদের জন্য নতুন প্রযুক্তি, উৎপাদন, এবং সেবা সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিক্রি করা সম্ভব।
৪। সেবা এবং সমর্থন: বিভিন্ন চ্যাটবট, অটোমেটেড সেবা যা স্মার্ট সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং সেবা প্রদান করতে পারে যাতে মানুষের সময় এবং শ্রম সঞ্চয় হয়।
দুঃশ্চিন্তাসমূহ:
১। বেকারত্বঃ স্বয়ংক্রিয় মেশিন ও রোবট মানুষের কর্মপ্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করতে পারে, যা নতুন ক্ষুদ্রকরণের প্রস্তুতি ও বেকারত্বের সৃষ্টি করতে পারে।
২। নিরাপত্তা সমস্যাঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে যা ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি এবং সুরক্ষার সাথে জড়িত। এই তথ্য ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই AI এই ডেটা ব্যবহার করতে পারে এবং অন্যত্রে স্থানান্তর করতে পারে।
৩। নতুন উদ্ভাবনে বাধা সৃষ্টিঃ সৃজনশীল চিন্তার অবসান ঘটাতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI). আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে খুব সহজেই যে কোনো কবিতা, গল্প বা আর্টিকেল লিখা সম্ভব যা মানুষের সৃজনশীলতাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে।
স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, আমরা নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ ও সমৃদ্ধ করতে পারি এবং আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এর উপযুক্ত ব্যবহার শিখে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারি।
লেখক: শিক্ষার্থী,
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ,
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।