• ৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদান

দখিনের সময়
প্রকাশিত জুলাই ২২, ২০২৩, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
প্রতিদান
সংবাদটি শেয়ার করুন...
সাজিদুল করিম সাদি:
আমরা সবাই কমবেশি ইনপুট এবং আউটপুট এই দুটি শব্দের সাথে পরিচিত। এটা হতে পারে আমরা পাঠ্যবই থেকে পরিচিত হয়েছি বা পাঠ্য বইয়ের বাহির থেকে। যেখান থেকেই পরিচিত হইনা কেন, একটা কথায় কারোরই দ্বিমত নেই বা দ্বিমত থাকা উচিৎও নয় সেটা হলো: “প্রতিটি ইনপুটের একটা আউটপুট থাকে বা আছে” । আউটপুট কখনো ভালো বা পজিটিভ হতে পারে আবার কখনো খারাপ বা নেগেটিভ হতে পারে। এটা পরিপূর্ণ নির্ভর করে আপনার ইনপুটের উপর। আপনি যেমন ইনপুট দিবেন ঠিক তেমনই আউটপুট পাবেন।
উদাহরণস্বরূপ একজন ছাত্র/ছাত্রী তার ছাত্রাবস্থায় যদি খুব সুন্দর করে লেখাপড়া করে, বা লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়োপযোগী দক্ষতা অর্জন করে এর প্রতিদান স্বরুপ সে খুব ভালো একটা ক্যারিয়ার অর্জন করতে পারবে। উক্ত উদাহরণে লেখাপড়া, বা দক্ষতা হলো ইনপুট এবং সুন্দর ক্যারিয়ার হলো তার আউটপুট। ঠিক একইভাবে একই উদাহরণ যদি নেগেটিভভাবে হয়। যেমন ধরুন ছাত্র/ছাত্রী তার ছাত্রাবস্থায় একদমই লেখাপড়া বা দক্ষতা অর্জন করেনি। যার প্রতিদান স্বরুপ সে বিষন্নতা, হতাশা বা যেটা আমাদের জাতীয় সমস্যা অর্থাৎ বেকারত্বের মতো সমস্যায়ও পরতে পারে।
উপরের কথাগুলোকে বা লেখাগুলোকে সমর্থন করে আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ সমূহে অনেক জায়গায় অনেকভাবে উল্লেখ করা আছে। উক্ত কথাগুলোর সারমর্ম নিয়ে আমাদের ইসলাম ধর্মে পবিত্র কুরআনে চমৎকার একটা আয়াত আছে “মানুষ তাই পায়, যা সে চেষ্টা করে” (সূরা আন নাজম -০৩৯)। আবার হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা গীতায় শ্রী কৃষ্ণ এভাবে বলেছেন, “নরকের তিনটে দরজা হয়- কামনা, ক্রোধ এবং লোভ।” অর্থাৎ এখানে কামনা, ক্রোধ বা রাগ, এবং লোভ এই তিনটি নেগেটিভ ইনপুটের প্রতিদান বা আউটপুট হলো নরক বা জাহান্নাম।
আপনি যতোটুকু পানিতে নামবেন ঠিক ততোটুকুই ভিজবেন এর বেশিও না আবার কমও না৷ ভালো কাজ করলে এর প্রতিদান স্বরুপ যেমন পুরষ্কার পাবেন ঠিক তেমনি খারাপ কাজের প্রতিদান বা আউটপুট স্বরুপ শাস্তিও পাবেন। আসুন আমরা সবাই একসাথে সুন্দর ইনপুট দেওয়ার মাধ্যমে সুন্দর একটা পৃথিবী গড়ে তুলি।
লেখক: শিক্ষার্থী,
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ,
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।