দখিনের সময় ডেস্ক:
চতুর্থ দিনের মতো আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকার অভিভাবকবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকরা সাংবাদিকদের বলেন, “মোঃ মোশারফ স্যার দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে এলাকার নিরীহ ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে, পাশাপাশি তার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি তার সহকর্মী শিক্ষকরাও। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে পাতারহাট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন নানা ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকদের বদলি সহ নানা রকম হয়রানির স্বীকার করতেন সাধারণ শিক্ষকদের। অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে সে বরিশাল শহরে বাড়ি করেছেন বলে ও জানা যায়। মডেল স্কুলে থাকাকালীন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এলাকাবাসী এর সত্যতা পেয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে এবং তার বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের একপর্যায়ে তাকে সেখান থেকে পানিশমেন্ট ট্রান্সফার করে দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও তার চরিত্র কোনরূপ পরিবর্তন হয়নি। বহাল তবিয়তে পূর্বের ন্যায় সে তার অপকর্ম চালিয়ে গেছেন।”
দাঁতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, “সে নিয়মিত স্কুলে আসতেন না, মাসে একবার – দুইবার স্কুলে গিয়ে পুরো মাসের অ্যাটেনডেন্সে সাইন করতেন। তার প্রভাব এর কাছে উপজেলা প্রশাসক জিম্মি থাকায় স্থানীয় অভিভাবকদের তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে পুনরায় আবার নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে স্থানীয় অভিভাবকগণ তাকে ওই স্কুল থেকে বদলি হয়ে যাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানালে সে টাকা পয়সার লেনদেনের মাধ্যমে আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করতে চাচ্ছে।”
এর আগে মোশারফ মাস্টার এর যোগদানকে প্রতিহত করতে স্কুলের মাঠে ঝাড়ু জুতা মিছিল করেন আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এবং পাশাপাশি তারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেন যেন এই স্কুলে মোশাররফ মাস্টারকে যেন কোন ভাবেই না দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জানার জন্য মোশারফ মাস্টার কে ফোন দেওয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Post Views:
০