আইএস-কে আসলে কারা

দখিনের সময় ডেস্ক:

জঙ্গী গোষ্ঠী আইএসের আঞ্চলিক সহযোগী শাখা হিসেবে কাজ করছে আইএস-কে। বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ে প্রাচীন আমলে যে অঞ্চল সেটিই খোরাসান নামে পরিচিত ছিল। কয়েক বছর ধরে সহিংস ঘটনার পেছনে এই গোষ্ঠীটি দায়ী বলে অভিযোগ পাওয়া যায় এর আগে। বিশেষ করে তারা স্কুলছাত্রীদের ওপর হামলা এমনকি হাসপাতালে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। এখন তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বর্তমানে আইএস-কে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সক্রিয় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জোড়া হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একটি শাখা। একে বলা হয়, আইএস-কে (ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান), বা আইএসকেপি (ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান প্রভিন্স)।

ধারণা করা হয়, তালেবানের তৃতীয় পক্ষ হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএস-কের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় পার্থক্যও বিদ্যমান। তারা অভিযোগ করে, গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে আমেরিকানরা আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইএস এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটি আগামী তালেবান সরকারের জন্যও অশনিসংকেত।

উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেওয়ার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে যাওয়ার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। তালেবান সরকার গঠনের কাজ শুরু করলেও আঞ্চলিক কয়েকটি সংগঠন তালেবানের বিরোধীতা শুরু করে। তালেবানের পূর্বের শাসনকাল নিয়ে জনমনে এক ধরনের অস্বস্তি তো আছেই। এর মাঝেই বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিল আইএস-কে।