• ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯/১১ হামলায় সৌদি আরব জড়িত

দখিনের সময়
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ১৮:০০ অপরাহ্ণ
৯/১১ হামলায় সৌদি আরব জড়িত
সংবাদটি শেয়ার করুন...

দখিনের সময় ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় হতাহত স্বজনদের ২০ বছরের জিজ্ঞাসার অবসান ঘটাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। হামলা ও বিমান ছিনতাইয়ে সৌদি আরব জড়িত কিনা-মার্কিনিদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে শনিবার তদন্তসংক্রান্ত প্রথম নথি প্রকাশ করল এফবিআই।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাহী আদেশের প্রকাশিত ১৬ পৃষ্ঠার নথিতে বলা হয়েছে, নাইন ইলেভেনের ঘটনায় সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। এনপিআর, এএফপি।

নথিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাসের সিনিয়র কর্মকর্তারা ৯/১১ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের একজন মুসায়েদ আহমেদ আল-জারাহ। অবশ্য মুসায়েদ তার সংশ্লিষ্ট থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনার সময় মুসায়েদ ওয়াশিংটনে সৌদি কনস্যুলেটে কর্মরত ছিলেন। সৌদি কূটনীতিক যে দুজন হাইজ্যাকারকে সহায়তা করেন তারা হলেন নাওয়াম আল-হাজমি ও খালিদ আল-মিধার। তারাও সৌদি নাগরিক। টুইন টাওয়ারে হামলার দিনকয়েক আগে তারা কলেজছাত্র পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তারা দুজনই আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সেভেন সেভেনে ছিলেন। এই দুই হাইজ্যাকার লসঅ্যাঞ্জেলসে এক সৌদি কূটনীতিকের অ্যাপার্টমেন্টে আশ্রয় নেন। নাওয়াম আল-হাজমি ও খালিদ আল-মিধারকে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন নাইন ইলেভেন হামলার জন্য বাছাই করেন। ফাহাদ আল থুমাইরি নামে আরেক সৌদি নাগরিকের সংশ্লিষ্টতার কথা বলছে এফবিআই। টুইন টাওয়ারে হামলার জন্য জিআইএ নামে যে সশস্ত্র ইসলামি গ্রুপকে দায়ী করা হয় যার সঙ্গে সৌদি সংশ্লিষ্টতা ছিল। জিআইএ’র মতো জিএসপিসি নামে আরেকটি গ্রুপের আল কায়দা সংশ্লিষ্টতা ছিল। নাইন ইলেভেনের হামলায় সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওমর আল-বায়ুমি জড়িত ছিলেন বলে এফবিআই সন্দেহ করছে। বিবিসি বলেছে, ১৬ পৃষ্ঠার ওই নথি ব্যাপকভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এটি এমন একটি উৎসের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয়েছে, যার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯/১১ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে সৌদি আরবের সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ৯/১১ হামলার ২০ বছর পরে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার সূত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসাবে দেখা হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের ভেতরে আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে এফবিআই।

আল কায়দা প্রধান জাওয়াহিরি বেঁচে আছেন : নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি বেঁচে আছেন। এর আগে কয়েকবার তার মৃত্যুর কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তির দিনে জাওয়াহিরির নতুন এক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, ওই ভিডিও বার্তায় জাওয়াহিরির বক্তব্যেও যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠীর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে, দীর্ঘ এক ঘণ্টার একটি ভিডিও বার্তায় আয়মান আল-জাওয়াহিরি অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি যে বেঁচে আছেন এই ভিডিও বার্তা তারই প্রমাণ। সাইট ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক রিতা কাৎজ টুইট করেছেন, ‘তার মৃত্যুর গুজবের মধ্যে আল কায়দার নেতা জাওয়াহিরিকে নতুন একটি ৬০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে। এবার তিনি কিছু প্রমাণ দিয়েছেন যে তিনি মারা যাননি। কারণ ওই ভিডিও বার্তায় জাওয়াহিরি ডিসেম্বরের পরের কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন অথচ জাওয়াহিরির মৃত্যু নিয়ে গুজব উঠেছিল গত ডিসেম্বরে।’