আশাবাদী জাকির চৌধুরী

ইউনিয়ন প্রতিনিধি:

বরিশাল সদর উপজেলার ১ নং রায়পাশা করাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির। দলীয় মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। এলাকার জনপ্রত্যাশাও এ রকম। এরই মধ্যে এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ চৌধুরীর সন্তান জাকির চৌধুরী।

একাধিক সূত্র বলছে, বঙ্গবন্ধু ও মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের একজন গর্বিত সৈনিক চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির। আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকে দলীয় মনোনয়নে মিজানুর রহমান জাকিরকে দেখতে চায় ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ। অনেকেই বলছেন, বায়পাশা-করাপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির। ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সহ-সভাপতি এই তরুন নেতা বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে, আগামী দিনের ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্র ও সর্বশ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে।

এলাকার জারিপে দেখাগেছে, দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির। ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ বলছেন, জাকির চৌধুরী একজন নম্র ভদ্র ও সর্বোচ্চ শিক্ষিত তরুণ। রাজনীতি ও মানব সেবায় তিনি নিবেদিত ব্যক্তিত্ব। যে কারণে তারে উপর মানুষের ভরসা বেশী।  তিনি নিজের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে এলাকায় সমাজসেবা, বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় দান-অনুদান, অসহায় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। জাকির চৌধুরী তার নিজ অর্থায়নের মহামারী করোনাসহ সকল সামাজিক অনুষ্ঠানে গরীব অসহায় মানুষের অসুস্থতা ও গরিব মানুষের সন্তানদের লেখাপড়ার সাহায্যে এবং বিবাহের জন্য গোপনে পূর্ব থেকেই মানুষকে নিজের হাতে সাহায্যের হাত বারিয়ে এসেছেন। এমন কি তিনি একটি কোম্পানিতে এলাকার অনেক ছেলের চাকুরির ব্যবস্থা করেছেন। শুধু তিনি ও তার পরিবার নয়, তার পূর্বপুরুও মানুষের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত ছিল।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাকির চৌধুরী একজন ক্লিন ইমেজের ভদ্র মানুষ। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বলছেন, জাকির চৌধুরীর মতো একজন সেবক পাই তাহলে ইউনিয়নের উন্নয়ন ও সঠিক সেবা পাব। প্রবীণ ও তরুণ সকলের মত, জনগণের মনের আশা পূরণ করে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন। তাকে যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে দল বিবেচনা করলে ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা পুরণ হবে।

যোগাযো্গ করা হলে চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির বলেন, আমি এমন একজন বাবার সন্তান যিনি ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পুলিশ কর্মকর্তা থাকাকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজারবাঘ পুলিশ লাইন থেকে অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বাবার সন্তান হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আজ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমার রক্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছি। আমি জাতীয় পার্টি বা বিএনপি অথবা অন্য কোন দল থেকে আসিনি। আমার জীবনের ইতিহাস, আমি একজন বঙ্গবন্ধু প্রেমী আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার নগণ্য কর্মী- এটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আর আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে আমার জীবনকে এগিয়ে নিতে চাই।

চৌধুরী মিজানুর রহমান জাকির বলেন, আমার প্রিয় দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করি মহান আল্লাহর রহমত এবং আমার এলাকার মানুষের দোয়ায় আমার প্রিয় দলের নেতাদের সঠিক বিশ্লেষণে আমি আগামী দিনে মানব সেবায় নিজেকে নিবেদিত করতে পারব। আমি ১৯৮৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পতাকার তলে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছি। আমি কোন অনুপ্রবেশকারী নই। এটাই আমার জীবনের বড় গর্ব। মহান আল্লাহ যদি আমাকে কবুল করেন এবং আমার প্রিয় দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনিত করে তাহলে আমি জনগণের ভালোবাসায় এবং ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবায় নিজেকে আজীবন স্মরণ করে রাখেই আমার একমাত্র প্রত্যয়। আমি নির্বাচিত হয় আমার এলাকার দল ও সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতায় গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে তাঁর স্বপ্ন ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নের এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। জাকির চৌধুরী বলেন, আমার সকল ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বঙ্গবন্ধু ও দলের আদর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশই আমার কাছে প্রধান।