Home Uncategorized ডিআইজি মিজান দুই দফায় দুদকের বাছিরকে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ দেন

ডিআইজি মিজান দুই দফায় দুদকের বাছিরকে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ দেন

দখিনের সময় ডেস্ক:

বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান দুই দফায় ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দিয়েছেন।

এ মর্মে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন। তিনি ডিআইজি মিজানের অর্ডারলী ছিলেন। এছাড়া এদিন ডিআইজি মিজানের স্ত্রীর দোকানের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম নামেও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ রোববার (২৬সেপ্টেম্বর) ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ১২ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।

সাক্ষীর জবানবন্দিতে কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন নিজ পরিচয় উল্লেখ করে বলেন, ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ডিআইজি মিজানের উত্তরার বাসা থেকে সে (সাদ্দাম হোসেন) দুইটি ব্যাগে ২৫ লাখ টাকা ও কিছু বই গাড়িতে তুলে দেন। এরপর সে ও ডিআইজি মিজান ওই গাড়ীতে রমনা পার্কের সামনে আসেন এবং জিআইজি মিজান সাদ্দামকে বলেন, তার সঙ্গে কথা বলার জন্য একজন লোক আসবে। কিছুক্ষণ পরে লোকটি পার্কের আসেন। এরপর ডিআইজি মিজান তার সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। এরপর তারা গাড়িতে ওঠেন। ডিআইজি মিজান চালককে তার সঙ্গে গাড়িতে ওঠা লোকটিকে রাজারবাগ মোড়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের গলিতে নামিয়ে দিতে বলেন। যাতায়াতের মধ্যবর্তী সময়ে তারা অনেক কথা বলেন।

সাক্ষী সাদ্দাম বলেন, ‘গাড়ি যাওয়ার সময় মিজান স্যার ওই লোককে বলেন, ব্যাগে ২৫ লাখ আছে। তখন ওই লোক প্রশ্ন করেন যে সব ঠিক আছে ভাই? মিজান স্যার বলেন, সব ঠিক আছে। পরে ওই লোকটাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের গলিতে নামিয়ে দেয়া হয়। লোকটি যাওয়ার পর সাদ্দাম ডিআইজি মিজানের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, সে কে স্যার? তখন ডিআইজি মিজান তাকে বলেন, লোকটি দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির।’ সাক্ষী সাদ্দাম আরও বলেন, পরবর্তীতে ওই বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি মিজান স্যারের বাসা থেকে তিনি (সাদ্দাম হোসেন) একটি শপিং ব্যাগ ও একটি হ্যান্ড বল গাড়িতে তুলে দেন। ব্যাগে টাকা ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে মিজান স্যার জানান, ব্যাগে ১৫ লাখ টাকা আছে। একইভাবে তারা সেদিনও রমনা পার্কের সামনে আসেন। গাড়িতে বসে এনামুল বাছিরের সঙ্গে কথা বলেন ডিআইজি মিজান। তাকে রমনা পার্কের সামনে আসতে বলেন। এনামুল বাছির পাকের সামনে এলে তারা ভেতরে যান। কথা শেষে তারা আবার গাড়িতে ওঠেন। এনামুল বাছিরকে শান্তিনগর মোড়ে নামিয়ে দিতে বলেন ডিআইজি মিজান। সেদিনও গাড়িতে তারা কথা বলেন। এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানকে বলেন, ‘আপনার মামলায় কিছু নেই। আপনার কিছুই হবে না। পরে তাকে শান্তিনগর মোড়ে নামিয়ে দেন ডিআইজি মিজান। যাওয়ার সময় এনামুল বাছির টাকাসহ ব্যাগটি নিয়ে যান।’

সাক্ষী সাদ্দাম বলেন, ‘একই বছর ৩০ মে গুলশান পুলিশ প্লাজায় ডিআইজি মিজান যান। এনামুল বাছির সেখানে আসেন। তারা সেখানে কথা বলেন। এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানকে বলেন, “আপনার মামলায় কোনো কাগজপত্র নেই। আপনার কিছু হবে না”।’ অন্যদিকে সাক্ষী রফিকুল ইসলাম নিজের পরিচয় উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৯ সালে গুলশান পুলিশ প্লাজায় আসেন এনামুল বাছির। তখন ডিআইজি মিজান বলেন, টাকা দিলাম, তারপরও আমার নামে কেস হলো।’ এই কথোপকথনের পর তারা বের হয়ে যান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল

দখিনের সময় ডেস্ক: এক-তৃতীয়াংশের বেশি আমেরিকান-ইহুদি কিশোর (১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী) 'আমি হামাসের সাথে সহানুভূতিসম্পন্ন'- এমন বক্তব্যের সাথে একমত। ইসরাইলের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে...

প্রতিদিন কলা খাওয়ার উপকার

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রতিদিন কলা খেলে মেলে অনেক উপকার। কলায় থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন। যে কারণে চিকিৎসকেরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি...

মোহিনীর প্রেমের এআর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বলছেন পুত্র

দখিনের সময় ডেস্ক: ব্যক্তিজীবন নিয়ে সংবাদের শিরোনামে এআর রহমান। সায়রা বানুর সঙ্গে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যের অবসান। বুধবার রাতে রহমানের স্ত্রী সায়রার আইনজীবী এই খবর...

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

Recent Comments