দখিনের সময ডেস্ক:
ট্রাফিক পুলিশের মামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিলেন পাঠাও চালক। রাজধানীতে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলো নগরবাসী। তবে, পাঠাও চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়নি বলে দাবি পুলিশের।
এক সময়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শওকত আলম সোহেল। করোনা মহামারি তাকে বানিয়েছে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ‘পাঠাও’ এর চালক। জীবিকার প্রয়োজনে গত দেড় মাস ধরে মোটরসাইকেল চালান তিনি। সোমবার সকালে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল রাখার অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট তার বাইকের কাগজপত্র যাছাই করছিল। সে সময় আচমকা নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন সোহেল। এরপর স্থানীয় এক দোকানি এবং অটোরিকশাচালক আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তাদেরও বাধা দেন সোহেল।
প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশা চালক মেহেদি হাসান জানান, পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেলের কাগজ যাচাই করতে চাইলে তার হাতে কাগজ দেন বাইকচালক। এ সময় দায়িত্বরত সার্জেন্ট মামলা দিতে চাইলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ বাইকচালক নিজ মোটরসাইকেলে আগুন দেন।
ক্ষুব্ধ মোটরসাইকেল চালক শওকত আলম সোহেল বলেন, মামলা দেয়ার কারণেই ক্ষুব্ধ হয়েই নিজ বাইকে আগুন দেই। আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম মামলা না দেয়ার জন্য। তারপরেও মামলা দিলে পুলিশকে বলেছি আমি আর বাইক চালাবো না। বাইক আগুনে পুড়িয়ে ফেলব।’ নিজের বাইক নিজে আগুন দেয়ার বিষয়ে বলেন, ‘আমার বাইকে আমি আগুন দিয়েছি। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। ঘটনার পর বাড্ডা থানায় নেয়া হয় মোটরসাইকেল ও সোহেলকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।