দখিনের সময় ডেস্ক:
দেশের জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক যুগ ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্বে লিয়াকত আলী লাকী। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক একজন কর্মকর্তাকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে ২৬ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে।
গত ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হলে ওইদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন লিয়াকত আলী লাকী। তার আদেশে নতুন সচিব না আসা পর্যন্ত মাহবুবাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। দুদকে জমা হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন মাহবুবা। এ সময়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক লাকী, সচিবের অতিরিক্ত দায়িত পাওয়া মাহবুবার মাধ্যমে প্রায় ২৬ কোটি টাকার বিভিন্ন চেকে স্বাক্ষর করান। অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুনের তারিখেই এসব স্বাক্ষর হয়। সরকারি বরাদ্দের অর্থ খরচ দেখাতেই এমন অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে দুদকে দাখিল হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে। ওই সময়ে মহাপরিচালকের আদেশে সচিবের দায়িত্ব পালন করা সৈয়দা মাহবুবার সঙ্গে এসব বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলেন।
দুদকে আসা অভিযোগে মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে শিল্পকলা একাডেমির পরিষদের সদস্যদের সিদ্ধান্ত না মানাসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও এসেছে। সুশাসনের জন্য এসব বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন মনে করেন শিল্পকলা একাডেমির পরিষদের সদস্য রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত করছে। তবে আমরা চাই সব কিছু একটা নিয়মের মধ্যে দিয়ে চলুক।’ এদিকে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান জানিয়েছেন, এসব অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসব অভিযোগ নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।