Home জাতীয় ‘সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে’

‘সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে’

দখিনের সময় ডেস্ক : 

আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে কী করে খাতির হয়েছিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন বিচারক। রিজেন্ট কেলেঙ্কারির মামলায় ডা. আজাদ বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ ২ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। সেই শুনানিতেই স্বাস্থ্যের ডিজিকে বিচারক ওই প্রশ্ন করেন।

শুনানি চলাকালে আবুল কালাম আজাদ বিচারককে বলেন,  আমি সারাজীবন কোনো অন্যায় করিনি, আর কখনও অন্যায় করবও না। তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনার যে অবস্থা, সেই অবস্থায় সচিব মহোদয়ের নির্দেশে… মানুষের জীবন বাঁচাতে এটা (রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি) করতে হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সামনে (চুক্তি) স্বাক্ষর করা হয়েছিল।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাহেদ যে একজন প্রতারক, সেটি আমার জানা ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের মাধ্যমে দৈনিক ৫০টি করোনা টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 ‘কিন্তু মানবসেবার নামে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য টাকা নিচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতাল এমনটি অভিযোগ পরে জানতে পারি। এরপর আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম, ওই দুটি শাখা (রিজেন্ট হাসপাতালের) বন্ধ হয়ে যাবে।’

বিচারক এ সময় আজাদকে বলেন, সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে হয়েছিল?

আজাদ উত্তরে বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দিন সাহেদের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। আরও বড় বড় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই থেকে সাহেদের সঙ্গে আমার পরিচয়।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমি আগে থেকে জানতাম না সাহেদ একজন প্রতারক ছিলেন। স্যার, আমার ডায়াবেটিস রয়েছে। আমরা জীবন তুচ্ছ করে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি কোনো অপরাধ করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না।

লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে এ মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবুল কালাম আজাদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাকি চার আসামি হলেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ট্রু-কলারের নতুন ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এলে সহজেই ধরে ফেলার জনপ্রিয় অ্যাপ ট্রু-কলার। তবে আইফোনের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপের সুবিধা বেশি পেতেন। এবার...

যে ৫ খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করবেন না

দখিনের সময় ডেস্ক: অবশিষ্ট খাবার এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন- এই দুইয়ের সঙ্গে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বিশেষ করে যখন আপনি তাড়াহুড়া করেন। দ্রুত লাঞ্চ বা ঝটপট খেয়ে...

আধিপত্য বিস্তারে রাজবাড়ী বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৩

দখিনের সময় ডেস্ক: রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির...

প্রাণ গ্রুপে চাকরি, ২৫ বছর হলেই আবেদন

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রাণ গ্রুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির স্টোর অপারেশন বিভাগ ট্রেইনি এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গতকাল ২৫...

Recent Comments