দখিনের সময় ডেস্ক:
শাহীরুল ইসলাম সিকদার নিজেকে কখনো সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আবার মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিতেন। প্রতারণা করতে নামি দামি ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে তা বাঁধিয়ে রাখতেন তিনি। রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহীরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে শাহীরুল ইসলাম সিকদারের (৪৮) কর্মজীবনের শুরু। দীর্ঘ আট বছর (১৯৯৬-২০০৩ সাল পর্যন্ত) পর এই পেশা থেকে বেরিয়ে সিকিউরিটি গার্ড সরবরাহের নামে শুরু হয় তার প্রতারণার প্রথম ধাপ। চাকরি দেবার নামে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। পরে সেই অফিস বন্ধ করে শুরু করেন ফ্ল্যাট ও জমির ব্যবসা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিলেও ফ্ল্যাট কিংবা জমি বুঝিয়ে দেননি। কেউ টাকা ফেরত চাইলে দিতেন হুমকি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, একটি শটগান, একটি এয়ারগান, একটি এয়ার রাইফেল, ২৩৭ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি খালি খোসা, ২২টি কার্তুজ, চারটি চাকু, তিনটি ডামি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব বলছে, রাজধানীতে তার একাধিক ফ্ল্যাট ও জমিসহ দৃশ্যমান প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার কথিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড গার্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, হোমল্যান্ড ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, মানবাধিকার সংস্থা, শাহীরুল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কো. লিমিটেড, হোমল্যান্ড হাউজিং, হোমল্যান্ড বেভারেজ অ্যান্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মাদারল্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড, শাহীরুল ইসলাম বাংলাদেশ আউট সোর্সিং অ্যান্ড পাওয়ার সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।