দখিনের সময় ডেস্ক:
শেষ চার ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। ক্রিজে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচ প্রায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিতই ছিল। কিন্তু ১৭তম ওভারে মাত্র তিন রান দিয়ে অনেকখানি চাপে ফেলেন ডোয়াইন ব্রাভো। তিন ওভারে ত্রিশ থেকে শেষ ওভারের আগে লিটন ফিরলে লক্ষ্য দাঁঁড়ায় এক ওভারে ১৩। আন্দ্রে রাসেলের কল্যাণে ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। এক বলে চার দরকার ছিল কিন্তু পারলেন না রিয়াদ। তিন রানে জিতে প্রথম জয়ের দেখা পেল উইন্ডিজ। হেরে বিশ্বকাপ শেষ টাইগারদের।
আজ শুক্রবার(২৯সেপ্টেম্বর) ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রানে থামে টাইগাররা। ব্যাট হাতে ২৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়াও চার বাউন্ডারিতে ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন লিটন। টসে হেরে ব্যাট করতে এসে শুরু থেকেই চাপে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দশ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে রান তোলে মাত্র ৪৮। পরের চার ওভারে ২২ রান তোলে ক্যারিবীয়রা। কিন্তু শেষ ৬ ওভারে রান বেশ কয়েকজন জীবন পাওয়া ব্যাটসম্যানের কল্যাণ্যে ৭২ রান তোলে উইন্ডিজ। যার মধ্যে সাতটি ছিল ওভার বাউন্ডারি। অথচ প্রথম ১৪ ওভারে ছিল না কোনো ছক্কা।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিংয়ে নাঈম শেখের সঙ্গে আসেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণে প্রথমবার ওপেনার হিসেবে ক্রিজে এসে তেমন সুখকর হয়নি। ১২ বলে মাত্র ৯ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন তিনি। সাকিবের ফেরার আগে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি নাঈম। দলীয় ২৯ রানে হোল্ডারের অফ স্টাম্প ঘেঁষা ডেলিভারি থার্ডম্যান বা পয়েন্টের দিকে স্টিয়ার করাতে চেষ্টা করেন নাঈম। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে স্ট্যাম্পে আঘাতহানলে ১৯ বলে ১৭ করেন ফেরেন তিনি। তিনে আসা লিটন দাসের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। আকিল হোসেনের কিছুটা জোর গতির বল ব্যাটের কানায় লেগে গেইলের তালুবন্দি হন সৌম্য। ১৩ বলে ১৭ করে ফেরেন তিনি। কিছুটা চাপের মুহূর্তে ডোয়াইন ব্রাভোর এক ওভারে ১৫ রান তুলে ম্যাচ কিছুটা ঘুরিয়ে দেন লিটন। কিন্তু অন্যপ্রান্তে থাকা মুশফিক রবি রামপলকে প্রথমে একটি বাউন্ডারি মারার পর স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন। দলের প্রয়োজনের সময় মাত্র ৮ রানে ফেরেন তিনি। শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দলের ভার টানেন লিটন। কিন্তু প্রয়োজনের আগেই ফেরেন তিনি।
১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন কাইরন পোলার্ড। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে কোনো বল না খেলে রান আউটের শিকার হন আন্দ্রে রাসেল। পরের ওভারে নিকোলাস পুরানের ভেসে আসা বল মিডউইকেটে আবারও ক্যাচ মিস করেন মেহেদী। দুই রানে জীবন পেয়ে ঝড়ো ব্যাটে ২২ বলে ৪০ করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। নিজের পরের বলে আরেক জীবন পাওয়া ব্যাটার রস্টন চেজকেও সাজঘরে ফেরান শরিফুল। শেষ ওভারে মুস্তাফিজ থেকে তিন ছক্কায় ১৯ রান আদায় করে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দেন জেসন হোল্ডার।