দখিনের সময় ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন নিয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের নানা সমীকরণ। ভোটের এই উৎসবে কে হবেন নগর সেবক তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা কল্পনা। নির্বাচনে মেয়র পদে জয়-পরাজয়ে নিয়ামক কী হবে, প্রার্থীর যোগ্যতা নাকি দলীয় প্রতীক, নারী নাকি নতুন ভোটার শেষ মুহূর্তে এসব নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩শ ৫৭ জন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কাল রোববার(১৬জানুয়ারী)। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ মেয়র পদে লড়ছেন ৭ জন। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ‘হাতি’ প্রতীকে লড়ছেন দলটির নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহ্ ‘হাতপাখা’, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস ‘হাত ঘড়ি’, খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন ‘দেয়াল ঘড়ি’, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসিম উদ্দিন ‘বটগাছ’ স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু লড়ছেন ‘ঘোড়া’ প্রতীকে। সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৪ জন।
২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এনিয়ে তৃতীয় নির্বাচন হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। ২০১১ সালের ৫ই মে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা, কদম রসুল পৌরসভা ও সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভাকে বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। ২০১১ সালের ৫ই মে প্রথম নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
নারায়ণগঞ্জ সিটির দ্বিতীয় নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২২শে ডিসেম্বর। আইভী পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬শ ১১ ভোট। বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে হারিয়ে মেয়র পদে পুনঃনির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আইভী।