দখিনের সময় ডেস্ক:
সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে এ পর্যন্ত আটটি চুক্তি করেছে বিএনপি-জামায়াত। এরমধ্যে তিনটি করেছে শুধু বিএনপি। সব মিলে তিনটি লবিস্ট ফার্মের পেছনে ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা খরচ করে দলটি। জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লবিষ্ট নিয়োগের বিষয়টি প্রথমে স্বীকার করলেও পরে সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি। লবিস্ট নিয়োগে অর্থের উৎস খুঁজে বের করার পাশাপাশি বিদেশে ওই অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তদন্তের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বিএনপি যদি বিদেশে টাকা পাঠিয়ে থাকা তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সে তথ্য বের করা খুব কঠিন কিছু নয়। তাদের আয়ের উৎস খুজেঁ বের করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দু’হাজার পনেরোতে যুক্তরাষ্ট্রের একিন গাম্প নামের একটি লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করে বিএনপি। ছাব্বিশ মাসের এ চুক্তিতে পরিশোধ করা হয় ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এই চুক্তি শেষ হতে না হতেই দু’হাজার আঠারোতে রাস্কি পার্টনারস এবং ব্লু স্টার নামের আরও দু’টি লবিস্ট ফার্মের পেছনে দুই বছরে আরও ৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঢালে বিএনপি। সব মিলিয়ে তিনটি লবিস্ট ফার্মের পেছনে ৩১ কোটি ২৮ লাখ টাকা খরচ করে দলটি। এদিকে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দশ বছরে ৩৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৯ টাকা আয় করেছে বিএনপি। আর লবিস্ট নিয়োগ ছাড়া দলীয় ব্যয় করেছে ২৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার মতো।
যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের ব্যয় বিএনপি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বার্ষিক হিসাবে উল্লেখ না করলে, তা তদন্ত করতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপির বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চিঠি ইসির কাছে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ-সংক্রান্ত ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত অডিট রিপোর্টে উল্লেখ না করে থাকলে, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। এ-সংক্রান্ত চিঠি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশন আগামী বৈঠকে তা আলোচনা করবে।