দখিনের সময় ডেস্ক:
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা প্রশাসনিক বাধার মুখে আটকে যাওয়ার পর এ বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা পৃথক রিটের শুনানি শুরু হয়েছে। যে ফিল্ম সিটিকে কেন্দ্র করে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
সোমবার(১৪ফেব্রুয়ারী) শুনানিকালে সেই ফিল্ম সিটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আদালতে ফিল্ম সিটি অনুমোদনসংক্রান্ত জাল ও সৃজিত কাগজপত্র দাখিল করেছেন সেলিম খান। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা। এ ছাড়া আইনের তোয়াক্কা না করে ‘সিনেবাজ ফিল্ম সিটি কাম রিসোর্ট কাম রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং’-এর নকশা নিজেই অনুমোদন দিয়েছেন এই চেয়ারম্যান। আজ মঙ্গলবার(১৫ ফেব্রুয়ারী) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবারও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান বলেন, ফিল্ম সিটির অনুমোদন বিষয়ে অনেক জাল ও সৃজিত কাগজপত্র সেলিম খানের পক্ষ থেকে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এগুলো আদালতের দৃষ্টিতে এনেছি। এসব জাল কাগজপত্রের বিষয়ে সেলিম খানের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর আসেনি। বিষয়টি নিয়ে শুনানি চলছে। আদালত যেটা ভালো, উপযুক্ত ও আইনানুগ মনে করবেন, সেই সিদ্ধান্ত দেবেন।