দখিনের সময় ডেস্ক
শেষ পর্যন্ত রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করেই বসে তাহলে বিশ্বব্যাপী কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। রাশিয়ার মোটেই ইউক্রেনে হামলার ইচ্ছা নেই একথা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বার বার বলে এলেও তাদের সমরসজ্জা দেখে তার বিপরীতটাই মনে হচ্ছে পশ্চিমাদের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের। প্রতিবেশী দেশটিতে হামলা করলে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি বেশ কিছুদিন ধরেই দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক অবরোধ কার্যকর হলে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হবে।
নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনার মধ্যে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ধাতু নিকেল ও অ্যালুমিনিয়ামের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। অন্য কিছু পণ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে তার বর্ণনা দেওয়া হলো।
তামা
গত বছর ৯ লাখ ২০ হাজার টন পরিশোধিত তামা উৎপাদন করে রাশিয়া যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৩.৫ শতাংশ। এর মধ্যে ৪ লাখ ৬ হাজার ৮৪১ টন তামাই রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান নরনিকেল উৎপাদন করে। রাশিয়ার আরেকটি বড় তামা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো ইউএমএমসি ও রাশিয়ান কপার কম্পানি। এসব প্রতিষ্ঠানের তামা যায় ইউরোপ ও এশিয়ায়।
ইস্পাত
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, গত বছর রাশিয়া বিশ্বের মোট ইস্পাতের ৪ শতাংশ উৎপাদন করেছে। এর পরিমাণ ৭ কোটি ৬০ লাখ টন। তাদের প্রধান ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো সেভারস্টাল, এনএলএমকে, ইভরাজ, এমএমকে ও মেকেল। এসব ইস্পাতের ৫০ শতাংশ যায় ইউরোপে।
সার
রাশিয়া পটাশ, ফসফেট ও নাইট্রোজেনযুক্ত সারের বড় উৎপাদক। দেশটি প্রতি বছর ৫ কোটি টনের বেশি এসব সার উৎপাদন করে যা বৈশ্বিক উৎপাদনের ১৩ শতাংশ। ফসঅ্যাগ্রো, উরালকেম, উরালকালি, অ্যাক্রন ও ইউরোকেম রাশিয়ার বড় সার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এশিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তে সার রপ্তানি করে তারা।
গম
রাশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম উৎপাদনকারী। গত বছর ৭ কোটি ৬০ লাখ টন গম উৎপাদন করে দেশটি। রুশ গমের প্রধান ক্রেতা হচ্ছে তুরস্ক ও মিসর। সূত্র: রয়টার্স