Home শীর্ষ খবর জেলা পরিষদে চেয়াম্যানদের বেলা শেষ, বসবেন প্রশাসক

জেলা পরিষদে চেয়াম্যানদের বেলা শেষ, বসবেন প্রশাসক

বিশেষ প্রতিনিধি:

মেয়াদ শেষ হলে জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে- এমন বিধান রেখে ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০২২’ নামে একটি বিল পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। আজ বুধবার সংসদে বিলটি পাস হয়।

পাস হওয়া বিলে প্রতি জেলা পরিষদে বিদ্যমান ১৫ সাধারণ সদস্য ও ৫ সংরক্ষিত নারী সদস্যের পরিবর্তে জেলার অন্তর্গত উপজেলার সমানসংখ্যক সদস্য এবং এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত সদস্য নিয়ে পরিষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেয়র পরিষদের সভায় অংশ নিতে পারবেন। তবে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না। পরিষদ প্রতি অর্থবছর শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে সম্পাদিত কার্যাবলীর ওপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবে।

পাস হওয়া বিলে শর্ত দেয়া আছে। এতে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের পদ-পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ‘একজন সচিব’ শব্দদ্বয়ের পরিবর্তে ‘সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন নির্বাহী কর্মকর্তা’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।

বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিলটির ওপর আনা জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এই বিলে প্রশাসক নিয়োগের বিধানের বিরোধিতা করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার সবসময় জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব দেয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে। এই আইনের মাধ্যমে জেলা পরিষদের সাথে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ ও কাজের সমন্বয় ঘটবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন,  পৌরসভা বিল পাসের সময় বলেছিলাম, সব পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ হয় না। অনেকে মেয়াদ শেষ করার পরে একটা মামলা করেন। ২০ বছর ধরে বসে থাকেন। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য প্রষাক নিয়োগ। এটা থাকলে কারও মামলা করার ইনটেনশন হবে না।

বিদ্যমান আইন ও পাস হওয়া বিলে নির্বাচকমণ্ডলী (ভোটার) হিসেবে একই ধরনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের প্রণয়ন করার কথা থাকলেও পাস হওয়া বিলে সেটা বলা হয়নি। কোনো প্রশাসক একের অধিক সময় পদে থাকতে পারবেন না এবং প্রশাসকের মেয়াদ কোনক্রমেই ১৮০ দিনের বেশি হবে না বলে বিলে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে।

আইন অনুযায়ী, জেলার অন্তর্গত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদের ভোটার।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ নারী সদস্য ছিল। আর পাস হওয়া বিলে জেলার প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে সদস্য এবং চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণসংখ্যা) নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

মানবাধিকার কর্মী মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন

দখিনের সময় ডেস্ক: বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কঠিন...

পঞ্চগড়ে চা খামারিদের ক্ষমতায়নে ইউসিবির কর্মশালা

দখিনের সময় ডেস্ক: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) সম্প্রতি পঞ্চগড় জেলার চা খামারিদের জন্য একটি কর্মশালা আয়োজন করেছে। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক...

সন্তানের অত্যাচারে শতবর্ষী বৃদ্ধের আত্মহত্যা

দখিনের সময় ডেস্ক: সৈয়দ আলী আকনে (১০৪) নামের এক শতবর্ষী বৃদ্ধের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিষপানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সৈয়দ আলী পিরোজপুরের ইন্দুরকানী...

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি

দখিনের সময় ডেস্ক: নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন আয়োজন করতে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার। সবার সহযোগিতা...

Recent Comments