দখিনের সময় ডেস্ক:
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে শ্রীলঙ্কার নাগরিককে পিটিয়ে হত্যায় সোমবার ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত। মামলায় অভিযুক্ত ৮৮ জনের মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকিদের দুই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
গত ডিসেম্বরে সিয়ালকোট শহরের এক কারখানার ম্যানেজার ৪৮ বছর বয়সী প্রিয়ন্তা দিয়াওয়াদানেজকে নির্মমভাবে পিটিয়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একজন বিদেশিকে এভাবে হত্যার ঘটনাটি পাকিস্তানকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একে ‘লজ্জার দিন’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া হত্যার দিনের ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা দিয়াওয়াদানেজকে তার কাজের জায়গা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বেদম পেটাচ্ছে। লোকটির মৃত্যু ঘটলে তারা লাশটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভিড়ের মধ্যে কয়েকজনকে লাশের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। এ ঘটনার পরও প্রিয়ন্তা দিয়াওয়াদানেজকে ইন্টারনেটে পাকিস্তানিসহ অনেকে তিক্ত ভাষায় গালমন্দ করেন। তার স্ত্রী নিলুশি দিশানায়েকা একে ‘খুবই অমানবিক’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
শ্রীলঙ্কার নাগরিক দিয়াওয়াদানেজ ইসলামের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর নাম লেখা পোস্টার ছিঁড়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে সহিংসতা শুরু হয়েছিল। যে সহকর্মীরা দিয়াওয়াদানাগে রক্ষা করতে গিয়েছিলেন, তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন যে, কারখানার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরুর আগে প্রিয়ানথা দিয়াওয়াদানাগে সেখান থেকে পোস্টারগুলো শুধু সরিয়ে নিয়েছিলেন।