আলম রায়হান:
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে ইউরোপের অর্থনীতি। রাশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ইউরোপীয় সহায়ক সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ইউরোপে বেড়েই চলেছে গ্যাস সংকট। এদিকে গ্যাস নিয়ে বাংলাদেশর সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন সময়।
রুশ গ্যাসের বিকল্প নিশ্চিত করতে ইউরোপের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে যাওয়া রুশ গ্যাসলাইনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার প্রেক্ষিতে তীব্র গ্যাস-সংকটে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলো। ফলে ইউরোপজুড়ে বেড়ে গেছে গ্যাসের দাম।
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে মস্কো ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলোও সামনে শীত মৌসুমের আগে নিজেদের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের মজুদ পূরণের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব শুধু ইউরোপের নয়, পড়েছে বাংলাদেশেও। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিজস্ব উৎপাদন হ্রাস পাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে জ্বালানী খাতে বাংলাদেশ কঠিন মসময়ের মধ্য দিয়ে যাবে। সংকটের এই সময় প্রলম্বিত হবার আশংকা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এদিকে একটি সূত্র বলছে, যেকোন মূল্যে জ্বালানী সংকট দূর করতে চায় সরকার। এ জন্য ছাতক ও ভোলাসহ অভ্যন্তরিণ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সৌদী আরবের সহায়তা নেবার জোর চেষ্টা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।