সাংবাদিক আমির খসরুর মায়ের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

দখিনের সময় ডেস্ক:

পিরোজপুরের নিজ বাসা থেকে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আমির খসরুর মা সেতারা হালিমের (৭৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ১০ টায় পিরোজপুরের সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধে হত্যা করে সিতারা হালিমের লাশ ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে।

নিহত সিতারা হালিম পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর হালিম হাওলাদারের স্ত্রী। নিহত সিতারা হালিমের মেয়ে সালামা আরজু বলেন, সিআইপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনের দ্বিতীয় তলায় তার মা একা থাকতেন। গতকাল রোববার রাতে সর্বশেষ তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়। আজ সকালে তাদের বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামের একজন রংমিস্ত্রি বাসায় এসে দরজায় ডাকাডাকি করেন। এতে তার মা দড়জা না খুললে কুদ্দুস বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়াকে বিষয়টি জানান।

সালামা আরজু বলেন, পরে অনেক সময় অতিবাহিত হলেও দরজা না খুললে ভাড়াটিয়া ও রংমিস্ত্রি পেছনের দরজা দিয়ে ডাকতে গেলে তারা ওই দরজা খোলা দেখতে পান। তখন তারা বাসায় ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, তার মা সিতারা হালিম মেঝেতে পড়ে আছেন। নিহতের মেয়ে বলেন, খবর পেয়ে তিনি ও তার স্বামী এসে ঘরের মেঝেতে তার মাকে পড়ে থাকতে দেখেন। তার মায়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে এবং ঘরের আলমাড়ি ভাঙা ও আসবাবপত্র এলোমেলোভাবেপড়ে আছে। তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তার মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক স্বাগত হালদার জানান, মৃত অবস্থায় সিতারা হালিম নামের এক বয়স্ক নারীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার গলায় চিকন কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন আছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে ঘরের ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।