দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ঘরে থাকা ছোরা ও ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করেছেন গিয়াসউদ্দিন শেখ। এ কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বেলাবো উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের শেখবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়িতে মা ও দুই সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- রহিমা বেগম (৩৫), তার ছেলে রাব্বি শেখ (১৩) ও মেয়ে রাকিবা শেখ (৭)। রহিমা বেগম ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী।
ট্রিপল মার্ডারের খবর পেয়ে পিবিআই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। সন্দেহের বশে গিয়াসউদ্দিন শেখসহ ৫ জনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার আলামত থেকে গিয়াসউদ্দিন শেখকেই তাদের সন্দেহ হয়। গিয়াস উদ্দিন প্রথমে স্বীকার না করলেও একপর্যায়ে স্ত্রী-সন্তদানদের নিজ হাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার গভীর রাতে তাদের হত্যা করেন তিনি।
নিহত রাহিমা বেগম এলাকায় কাপড় সেলাইয়ের দরজি হিসেবে পরিচিত। তার ছেলে রাব্বি শেখ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র ও রাকিবা শেখ স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গিয়াসউদ্দিন শেখ গাজীপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারের মাধ্যমে রঙের কাজ করেন। তিনি বেশিরভাগ সময় গাজীপুরে অবস্থান করেন।
আর দুই সন্তানকে নিয়ে রাহিমা বেগম গ্রামের এ বাড়িতে থাকতেন। গত শনিবার বিকালে গিয়াসউদ্দিন গাজীপুরের কর্মস্থলে যান। স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে দিকে গাজীপুর থেকে বাড়িতে যান বলে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে দাবি করেন গিয়াসউদ্দিন শেখ। কিন্তু মদন্তে বেরিয়ে এসেছে অন্য তথ্য।