দখিনের সময় ডেস্ক:
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নির্ধারিত এলপি গ্যাসের দাম কার্যকর হচ্ছে না এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। গত বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসেই এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করছে কমিশন। ২ জুন ৯৩ টাকা কমিয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৪২ টাকা। কিন্তু বাজারে তা কার্যকর হয়নি। এখনও দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেশি দামেই তা বিক্রি হচ্ছে।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গত বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসেই এলপি গ্যাসের দাম ঠিক করে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন মাসেই সেই দাম কার্যকর হয়নি। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে চললেও, বাজার নিয়ন্ত্রণের কোন উপায় তাদের নেই।
গেলো ২ জুন চলতি মাসে দাম ৯৩ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করে কমিশন। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও এর চেয়ে ৫০ থেকে দেড়শ টাকা বেশি দরেই বিক্রি হচ্ছে গ্যাস। খুচরা বিক্রেতারা বরাবরের মতো জানিয়েছেন, এলপি গ্যাসের পরিবেশকরা বেশি দাম নেয়াতে তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলপি গ্যাসের দাম বেশি নিয়ে কোম্পানিগুলো একের পর এক কমিশন ও উচ্চ আদালতের আইন অমান্য করে যাচ্ছে। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কমিশনের নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস বিক্রি না হওয়ায় আইনের প্রতি মানুষের আস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।