গাজী তাহেরুল আলম:
দীর্ঘ ৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। শনিবার (১১ জুন) শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু।
উদ্বোধনকালে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামীলীগ কখনোই কারো বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেনি, কিন্তু বার বার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। ধ্বংস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই, এটাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আজকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাংলার মাটি এখনো রক্তাক্ত হয়ে আছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিলো তারাই আজ নিজেরাই ইতিহাস থেকে মুছে যাচ্ছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পদমর্যাদার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুরর জম্ন না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা আজকে দেশেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত করেছেন। পৃথিবীতে অনেক নেতা আসবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যার মত এমন নেতা আর হবে না। তার নেতৃত্বে দেশে পদ্মা ব্রীজ হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ভোলাকে নিয়ে অনেক গর্ব করি। ভোলার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালি করার আহব্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান, ভোলা-৪ আসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল।
ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে ফজলুল কাদের মজনু কে সভাপতি, আবদুল মমিন টুলুকে সিনিয়র সহ সভাপতি এবং মাইনুল হোসেন বিপ্লবকে সাধারন সম্পাদক করে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় আড়াই হাজার ডেলিগেট ও কাউন্সিলরসহ অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।
