দখিনের সময় ডেস্ক:
পদ্মা সেতুর দুই পাড় মাওয়া ও জাজিরায় হংকংয়ের মতো শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। এরিমধ্যে পাঁচ হাজার অতিথির ধারণক্ষমতার একটি কনভেনশন সেন্টার হচ্ছে। এর জন্য এরই মধ্যে জমি ঠিক করা হয়েছে। সেটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে সরকারের।
চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং। বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক এই নগরী গড়ে ওঠেছে পার্ল নদীর তীরে। এই শহরের আদলেই পদ্মার দুই তীরে স্যটেলাইট শহর গড়ে তুলতে চায় সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর জাজিরা হবে হংকং, সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক একটি শহর।
সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পরিকল্পনা হচ্ছে, ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে জাজিরা ২৫ কিলোমিটার দূরে হবার কারণে সেখানে নতুন একটা আলাদা শহর গড়ে ওঠুক। যে শহরটা হংকং বা ওই ধরনের আদলে হবে। সেটি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। একটি অত্যাধুনিক সম্মেলন ও বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা হচ্ছে।
মাদারিপুরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের তৈরি হবে একটি কনভেনশন সেন্টার। নদীর তীরে একটি জায়গাও ঠিক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেটি হবে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। যেখানে মেলাসহ আন্তর্জাতিক নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে হোটেল-মোটেল, পর্যটন কেন্দ্রসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। পাঁচ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই কনভেনশন সেন্টারটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে করার প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সেটি বঙ্গবন্ধুর নামে করার সুপারশি করেছেন।
এদিকে শরিয়তপুর ও মাদারিপুর- দুই জেলার মধ্যেই একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর করার প্রাথমিক পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।