দখিনের সময় ডেস্ক:
মামুনুর রশীদ নোমানী সৎ ও পরিশ্রমী সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে কখনো আপোষ করেনি। তার এই প্রবনতাই কাল হলো। রাজাপুরের চল্লিশ কাহনিয়ায় অর্ধশত বছরের একটি পুরাতন কবরস্থান ও কালেমা, আল্লাহু এবং মুহাম্মদ লেখা একটি তোরন ভাঙ্গার জন্য একটি পক্ষে উদ্যোগ নেয়। অপর পক্ষ ভাঙ্গার বিরোধীতা করে।
কবর স্থান ও তোরণের বিষয়ে সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী ৩১ মার্চ’২২ তারিখ একটি সংবাদ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভের সূত্র ধরে। সংবাদ প্রকাশই কাল হলো নোমানীর।
সংবাদ প্রকাশের পর একটি চক্র সাংবাদিক নোমানীকে খুনের পরিকল্পনা করে দফায় দফায় মিটিং করে। তাদের টার্গেট কখন বরিশাল থেকে নোমানী বাড়ি আসে। ওৎ পেতে থাকে ওরা। খুনের পরিকল্পনাকারীরা বর্তমানে রাজাপুর থানায় নোমানীকে হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। আসামীরা হলো দেলোয়ার, ফেরদৌস, আলম, দুলাল, কালু মোল্লা, ফজলে হক, আমিনুল, হোসেন আলী। এদের পিছনে কলকাঠি নাড়ছে তিন গডফাদার।
এপ্রিল’২২ এর প্রথম সপ্তাহে দফায় দফায় মিটিং করে। খুন করার জন্য গডফাদাররা দ্বায়িত্ব প্রদান করে দেলোয়ার, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, ফজলে হক। এই চার জন মিলে দেশীয় অস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও লাঠি, আয়রন রড রুমিয়ান ফকির বাজারের একটি দোকানে মওজুদ করে। স্থানীয় একাধিক লোকজন জানায়, দেলোয়ার, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, ফজলে হকসহ অন্যান্যদের সাথে ব্যক্তিগত বিরোধ ছিলো না সাংবাদিক নোমানীর। তবে খুনের পরীকল্পনাকারীদের এক কথা কেন, নিউজ করলো তোরন ও কবর উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। জানাগেছে , হামলাকারীদের কেউ কেউ জাল টাকা ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।