দখিনের সময় ডেস্ক:
সুশাসনের দাবী করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। এটি হচ্ছে একটি রাষ্টের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। আর এ সুশাসন অনেকটা নির্ভর করে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর। কিন্তু এখানেই রয়েছে নানান ধরণের অভিযোগ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দফায় সরকারী চাকরিজীবীদেরর বেতন বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এই বেতন বৃদ্ধির সুফল কতটা পাওয়াগেছে তা প্রশ্নবিদ্ধ।
হয়তো এ বাস্তবতায়ই সোজা পথ ধরেছে সরকার। তা হচ্ছে, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করা। অবশ্য এ বিধান আইনে আগে থেকেই আছে। কিন্তু প্রয়োগের বিষয়টি কাজীর গরু কেবল খাতায় থাকার মতো। হয়তো এবার এধারার অবসান হতে যাচ্ছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের হিসাবের বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করতে আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ হালনাগাদ করা হচ্ছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর আলোকে প্রস্তাবিত ‘খসড়া সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালা, ২০২২’ প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১ মার্চ সার-সংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল এবং নাগরিকত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়টি উক্ত আচরণ বিধিমালায় আগে থেকেই সংযোজিত রয়েছে।
প্রস্তাবিত খসড়া আচরণ বিধিমালায় তা যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বিধি অমান্যকরণে বিধিমালায় শাস্তির ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে।