স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমের জন্মদিন আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে রাজধানীর চারদিকের নদীগুলো দুষনমৃক্ত করার প্রত্যয় পুঃন ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এ জন্য এখনো ৯ মাস সময় থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে কারো শৈথিল্য সহ্য করা হবে না।
আজ রোববার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘দূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার নদ-নদী : সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন নদী কমিশন চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে নদীতে ঝিনুক থাকে, গাংচিল ওড়ে, দেখা যায় মাছরাঙ্গা।
এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল, সেন্টার ফর গভর্ণেন্স স্টাডিজের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর জিল্লুর রহমান এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপ-প্রধান (মরফোলজিস্ট) এম এম মহিউদ্দিন কবীর মাহিন। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, মুকিত মজুমদার বাবু, আনসারুল করিম, মো: শরিফ উদ্দিন, ফজলে সানী, আবুল কালাম আজহাদ প্রমুখ।
নদী দুষণের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার চার দিকের নদীর সঙ্গে ১১টি খাল মিলিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে নদী দুষনের প্রধান উৎস। নানান ধরনের বর্জের পাশাপাশি নগরবাসীর মলমূত্রে নদী দুষনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন কমিশন চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি ওয়াসার বক্তব্য ও বাস্তবতার পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, বর্জ ব্যবস্থাপনা করা না গেলে নদী রক্ষা করা যাবে না। এর সাথে প্রতিদিন লক্ষাধিক লঞ্চযাত্রীর বর্জ সদরঘাটে বুড়িগঙ্গায় ফেলায় অন্তোষ প্রকাশ করেন ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। অপর এক প্রসঙ্গে নদী কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, নদীর দুরবস্থার কথা এখন আর কারো আজানা নয়। এ ব্যাপারে নেচেগেয়ে ঢোল বাজিয়ে মানুষকে সচেতন করার কিছু নেই। এখন নদীকে দুষণ মুক্ত করার বিষটি দৃশ্যমান করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, নদী রক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দেয়া আছে। এই দায়িত্ব তাদের পালন করতে হবে। নদীর দুরবস্থার উদাহরণ দিতে গিয়ে নরসিংদির একটি নদীর চিত্র তুলে ধরেন সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল।