দখিনের সময় ডেস্ক:
বিগত দিনে লঞ্চে কেবিন বা সোফা পেতে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তদবির করতে হতো। ডেকে আসন রাখতে বিকেলে এসে অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু বহু দিনের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বরিশাল নদী বন্দরের এখনকার চিত্রটি ঠিক উল্টো।
নোঙর করে থাকা বিলাসবহুল লঞ্চের সামনে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি। বরং যাত্রীদের জন্য ছুটাছুটি করছে লঞ্চ কর্মচারীরা। উচ্চ শব্দে কেবিন-সোফা বিক্রির জন্য যাত্রীদের দৃষ্টি আর্কষণ করা হচ্ছে। কারণ যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ এখন সড়ক পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লঞ্চে কিছু সংখ্যক যাত্রী কমতে পারে। তবে এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কেবিনের যাত্রী কমতে পারে। তবে ডেকের যাত্রী কমার সম্ভাবনা কম। আর ভাড়া কমানোর বিষয়ে এখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে যাত্রী ধরে রাখতে মালিকরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
এদিকে লঞ্চের যাত্রী মহসিন ঢালী বলেন, আমি সচারচার লঞ্চে যাতায়াত করি। ঢাকায় ব্যবসার সুবাদে এই রুটে আসছি বিগত ১০ বছর ধরে। তবে আজ এসে মনে হলো যাত্রীদের বেশ কদর বেড়েছে।