দখিনের সময় ডেস্ক:
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কপর্দকহীন এবং উদভ্রান্তের মতো কথা বলা বিএনপির মজ্জাগত হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় সারাদেশের মানুষ যখন উল্লসিত এবং পদ্মা সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদেরকে মানুষ ধিক্কার দিচ্ছে, তখন তারা খেই হারিয়ে নানা ধরণের উল্টাপাল্টা বক্তব্য দিচ্ছে, বলেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে মন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীতে তার বাসায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কতা বলেন তথ্যমন্ত্রী। পদ্মা সেতু নিয়ে সংসদে গান করার পরিবর্তে বন্যায় দুর্গত মানুষের সহায়তায় যেন আওয়ামী লীগ ঝাঁপিয়ে পড়ে- বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবার পর রিজভী সাহেব কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন, হঠাৎ বের হয়ে তিনি এখন নানা ধরণের কথা বলছেন। বন্যা হবার পর সেখানে বিএনপির কেউ যায়নি এবং বিএনপি কপর্দকহীনের মতো বলেছে, ত্রাণ দেয়া তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয় ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবসময় দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের নেত্রী ছুটে গেছেন, কিন্তু তারা এবার যায়নি। তাছাড়া, সংসদে এমপি মমতাজ বেগম তার বক্তব্যের শেষাংশে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদের অনুরোধেই আরেকটি গান গেয়েছিলেন। সেটি মনে হয় রিজভী সাহেব জানেন না।
বাংলাদেশে থেকে যারা পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা এ প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, হাইকোর্টের একটি রায়ে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। রায়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কি করা যায় সরকার বিবেচনা করবে।
‘আওয়ামী লীগের গাফিলতিতে দেশে করোনা বাড়ছে’- বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এ বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘সারা পৃথিবীতে তাহলে করোনা কি জন্য বাড়ছে? ভারতে বিজেপি’র কারণে বাড়ছে কি না? বন্যা হবার পরও বিএনপি বলেছে, সরকারের কারণে বন্যা হয়েছে তবে কি আসাম এবং মেঘালয়ে দুই হাজার এবং সিলেটে একদিনে হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিও আওয়ামী লীগের কারণে হয়েছে? ১২২ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে জন্যই বন্যা এবং বন্যার শুরু থেকে আমাদের সরকার এবং দল সর্বাগ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, বন্যার পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে কয়েকজন মারা গেছে সেটা সত্য, কিন্তু অনাহারে কোন মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি।